নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুষ্টিয়ায় বিএডিসি মুজিবনগর সেচ প্রকল্পের টেন্ডার নিয়ে প্রকল্প পরিচালকের বৈষম্য। স্বৈরাচারী লুটেরা শেখ হাসিনা সরকারের দোসরদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বিএডিসি কুষ্টিয়ায় প্রকল্প পরিচালক আলী আশরাফ।
৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পালিয়ে যায় স্বৈরাচার, গণহত্যাকারী, লুটেরা সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা ছদ্মবেশে রয়ে গেছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
জানা যায়, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে বিএডিসি মুজিবনগর সেচ প্রকল্প টেন্ডার আহবান করা হয়।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ২শ ১ টা লটে প্রায় ৫৭ কোটি টাকার কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। যেখানে সরকারি পিপিআর নিয়ম অনুযায়ী ৩ কোটি টাকার নিচে যেকোনো কাজ এলটিএম পদ্ধতিতে টেন্ডার আহ্বান করার নিয়ম। তবে সে আইনের ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়ে ১৬ বছর ধরে যারা লুটপাট করে খেয়েছে সেই পক্ষের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে ওটিএম পদ্ধতিতে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এর কারনে সাধারণ ঠিকাদাররা টেন্ডারে অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে করে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানাযায়।
পূর্বের টেন্ডার গুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এলটিএম পদ্ধতিতে টেন্ডার কল হলে প্রতি লটে প্রায় তিন থেকে চারশ সিডিউল বিক্রয় হয়। সে ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তের কারণে সরকার প্রায় ছয় থেকে আট কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই পদ্ধতির কারণে শুধুমাত্র বিগত লুটপাটকারী সরকারের সময় এর টেন্ডারবাজরাই অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে এবং সাধারণ ঠিকাদারগণ বঞ্চিত হচ্ছে।
তথ্যমতে, প্রকল্প পরিচালক আলী আশরাফ আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট চক্রের সাথে যোগসাজেশ করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে এলটিএম পদ্ধতি বাদ দিয়ে ওটিএম পদ্ধতিতে টেন্ডার আহবান করেছেন। এতে নতুন উদ্যোক্তা এই কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া বিএডিসি মুজিবনগর সেচ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আলী আশরাফ অফিসে না এসে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করছেন না।
বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি এমনকি মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পরবর্তীতে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে কল দিয়ে বলেন, আমি উপরের নির্দেশে নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডার আহ্বান করেছি।