
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুষ্টিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলোনকারীদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় কুষ্টিয়া পৌরসভার অডিটোরিয়ামের সামনে হামলার এই ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ৩ সমন্বয়ক আহত হয়েছে। হামলার এই অভীযোগের তীর ছাত্রলীগের দিকে। সমন্বয়কদের দাবী হামলাকারী প্রেম নামের ওই ব্যক্তি ছাত্রলীগ করেন। তবে স্থানীয়দের দাবী তিনিও গনঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া এক ছাত্র। আন্দোলনরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধও হয়েছিলেন তিনি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রেমকে খুঁজতে তার ৬ রাস্তার মোড় এালাকার বাসা বাড়িতে যান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। এ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছলে, পুলিশ সমন্বয়কদের যৌথ উদ্যোগে ৪ তলা ভবনটির বিভিন্ন জায়গায় প্রেমকে খোঁজা হয়। সেখানে সন্ধান পাওয়া যায় নি তার।
জানা যায়, ৮ই ডিসেম্বর শুরু হওয়া ৬ দিনব্যাপী উদ্যোক্তা পন্য মেলার চতুর্থ দিনে অতিথী হিসেবে উপস্থিত হয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সদস্য সচিব মুস্তাফিজুর রহমান, মুখ্য সংগঠক অভি,যুগ্ন আহবায়ক সাইদুল ইসলাম শ্রেষ্ঠ, সাদিয়া নামের আরও একজন নারী সংগঠক । তারা সকলেই পৌরসভার অডিটোরিয়াম সামনে পৌছলে হঠাৎ সমন্বয়ক মুস্তাফিজকে ধাক্কা দেয় প্রেম, সাদিক ও আমির হামজা নামের তিন যুবক।এরপর হঠাৎ ২০ থেকে ৩০ জনের একটি দল অতর্কিত ভবে ৪ সমন্বয়কের উপর হামলা করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান বলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার ভেতরে উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি মেলা চলছে সেখানে অতিথী হয়ে সদস্য সচিব মুস্তাফিজুর রহমান, মুখ্য সচিব সহ মোট চারজন উপস্থিত হয়। অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণ শেষে মঞ্চ থেকে নামার পর বিভিন্ন স্টলগুলো পরিদর্শনকালে পেছন থেকে চার পাঁচ জন ছেলে ইচ্ছাকৃতভাবে মুস্তাফিজকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা দেওয়ার পরে মোস্তাফিজ পেছন ফিরে তাকালে পিঠের চামড়া তুলে নেয়ার হুমকি দেয়। মেলার পরিবেশ নষ্ট হবে সে কারনে তাদের সাথে বাকবিদ্বন্দায় না জড়িয়ে বের হয়ে আসার সময় ২০-৩০ জন্য হামলা করে। তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ এত বড় সাহস পায় কোথা থেকে তাদেরকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পরও কিভাবে এখনো বাহিরে সঙ্গবদ্ধভাবে ঘুরে বেড়ায়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার অডিটোরিয়মের সামনে পৌঁছলে ২০ থেকে ৩০ জন সংবদ্ধ হয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে হামলা করে।
এ দিকে কুষ্টিয়া ছয় রাস্তা মোড়ের স্থানীয় এক বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম পিকলু বলেন,ছেলেটা নিঃসন্দেহে খুব ভদ্র ছেলে। আমার সাথে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল এবং সে থানা সামনে চার তারিখে পাঁচ তারিখ আমার পাশে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছিল । সম্ভবত ওর গায়ে বেশ কয়েকটি গুলিও লেগেছে। তাই আমার মনে হয় এখানে অনেকের ফেসবুক আইডিতে খুঁজলেও তার অনেক ছবি পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।