নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আল মামুন তালকদার কুষ্টিয়াতে দায়িত্ব গ্রহনের পর পরই আলোচনা সমালোচনার শীর্ষে অবস্থান করছে। জেলার শিক্ষকদের কাছে মূর্তমান এক আতংকের নাম হয়ে দারিয়েছেন তিনি। সাম্প্রতি তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও দূর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক)সহ বেশ কিছু দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষকবৃন্দ। এছাড়াও তার বিভিন্ন অণিয়মের বিষয় নিয়ে স্থানীয়, জাতীয় পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশ হয়। এর পর নড়েচড়ে বসে শিক্ষা দপ্তরের কর্তৃপক্ষ। তার অনিয়ম ও দূর্ণীতির ব্যাপারে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শিশির কুমার রায়সহ তিন সদস্য বিশিষ্ঠ তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। ডিজি অফিসের একটি পত্রের মাধ্যমে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন শেষ করার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে তদন্ত এড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আল মামুন তালকদার। তিনি
খোকসা জানিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সালমা ও তালবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা দিলারা জোয়ার্দ্দারকে চাকুরিচ্যুত এবং দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করেছেন।
হুমকি ও তদন্তের বিষয়ে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শিশির কুমার রায় জানান, আমরা চিঠি পেয়ে তদন্ত শুরু করেছি। দশ দিনের ভেতরে তদন্ত শেষ করবো।
আল মামুন তালকদারের অনিয়মের খোজ খবরে ভয়াবহ অর্থ আত্মসাৎ তথ্য উঠে এসেছে। জেলা শিক্ষা অফিসের গাড়ি চালক মুকুল হোসেনের ওভার টাইমের দুই লাখ ত্রিশ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন মামুন তালকদার। ভুক্তভোগী গাড়ি চালক মুকুল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে করে জানান, আমার ওভার টাইম থেকে ৬০ হাজার চাকা স্যার নিয়েছেন।
এদিকে শিক্ষা অফিসের এক বিশ্বস্থ্য সূত্র থেকে জানা গেছে , চলতি ২০২৩/২৪ অর্থবছরের বাজেটের খাতাওয়ারী অর্থ ৩,৩১,১৯৫ কোন খরচ না করেই তা নিজেরে পকেটে ঢুকিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে আল মামুন তালুকদারের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।