Pathikrit Most Popular Online NewsPaper

    এজাহারভুক্ত আসামী মীর পারভেজ, মীর পলাশ, মীর ফয়সাল

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    কাউন্সিলর রেজাউল ইসলাম এলাকায় মাছ বাবু নামে পরিচিত। মাছের ব্যবসার সুবাদেই তিনি মাছ বাবু নামে পরিচিত হয়ে উঠেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ নেতা বনে যান তিনি। অল্পদিনের মধ্যে শহর আওয়ামী লীগের পদও বাগিয়ে নেন। নেতাদের ম্যানেজ করে কাউন্সিলর হন। মাছ বাবুর তিন ছেলের প্রভাব এলাকাতে তার থেকেও কম নয়। নিজ এলাকায় তিন ছেলের দাপটে মুখ খুলতে ভয় পান অনেক শক্তিশালী ব্যক্তিরাও।

    মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মীর পারভেজ, মীর পলাশ, মীর ফয়সাল কুষ্টিয়া শহর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও কুষ্টিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবুর ছেলে। এদের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। ৫ই আগষ্ট সরকার পতনের পর থেকে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে এদের কুকর্মের ইতিহাস। মীর পারভেজ তার চৌড়হাস মোড়ের ঔষধের দোকানের আড়ালে চালান মাদক

    ব্যবসা। নিষিদ্ধ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পারভেজের পিতা একাধারে আওয়ামীলীগের নেতা ও আতার আস্থাভাজন হওয়ায় তাকে কেউ থামাতে পারেনি। কাউন্সিলর বাবুর আরেক ছেলে মীর পলাশ। তিনিও থেমে ছিলেন না। পলাশ ছিল স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী কামিনীর পার্টনার। তাছাড়াও প্রতি মাসে তিনি কামিনীর থেকে ৪০ হাজার টাকা করে নিতেন। তাছাড়া চৌড়হাস এলাকার অধিকাংশ আবাসিক হোটেলে তাকে মাসোহারা দিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড চালানো হতো।

    রেজাউল ইসলাম বাবু’র ছেলে মীর ফয়সাল। তিনি কিশোর গ্যাং পরিচালনা করতেন। গত ১৭ই জুলাই চৌড়হাস মোড় এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় মীর ফয়সাল ও তার গ্যাং। এদিকে মীর রেজাউল ইসলাম বাবুর নামেও কুষ্টিয়ায় একাধিক হত্যা ও হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৫ই আগষ্ট থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন বাবু ও তার পরিবার। তারা সকলেই দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টায় রয়েছেন। স্থানীয় এলাকাবাসীদের দাবি, তারা যেন কোন ভাবেই দেশ ত্যাগ করতে না পারে। তাদেরকে আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। কাউন্সিলর বাবুর সকল অবৈধ সম্পদ ও তার তিন পুত্র সহ তাদের কুকর্মের ইতিহাস জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।

    এ বিষয়ে তাদের সাক্ষাৎকার নেয়ার চেষ্টা করলে কোনভাবেই সম্ভব হয়নি।

    Spread the love