কুষ্টিয়া অফিস:
আসন্ন ষষ্ঠ কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর প্রচারণায় বাঁধা ও প্রার্থীকে হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু আহাদ আল মামুন দ্বীপু মীর। তাঁর নির্বাচনী প্রতীক মোটরসাইকেল। রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কুষ্টিয়া শহররর র্যাব গলিতে প্রচারণার সময় তিনটা মোটরসাইকেলে কয়েকজন যুবক এসে প্রচার গাড়ীর পথ রোধ করে। তারা প্রচারপত্র ছিনিয়ে নিয়ে ড্রেনে ফেলে দেয় এবং প্রচার মাইক বন্ধ করে দেয়। এসময় তারা রিক্সা চালককে মারধর করে চলে যায়। এছাড়াও সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শহরের মিল পাড়া এলাকা থেকে আরেকটি প্রচার গাড়ী থামিয়ে প্রচার মাইকের ব্যাটারি ও মেমোরি কার্ড খুলে নেওয়া হয়েছে।
প্রচার কাজে নিয়োজিত রিক্সা চালক জানান, “আমি পেটের দায়ে রিক্সায় প্রচার করি। আমাকে টাকা দিলে আমি আনারসের প্রচার করে দেবো। খামাখা আমাকে আনারসের সমর্থকরা মারধর করেছে। তারা আমাকে মোটরসাইকেলের প্রচার মাইক বন্ধ করে দিয়েছে এবং মোটরসাইকেল এর হ্যান্ডবিল কেড়ে নিয়ে ড্রেনে ফেলে দিয়েছে। পরে একজন রিক্সা চালককে না মেরে মেইনটাকে খুঁজি বলে চলে যায়। “
আবু আহাদ আল মামুন দ্বিপু মীর বলেন, ” আমি যাতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা না করি সেজন্য প্রথম থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার সমর্থকরা হুমকি দিয়ে আসছে। এবিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছি। এখন আমার প্রচার কাজে নিয়োজিত রিক্সা চালককে মারধর করে আমার প্রচার পত্র ড্রেনে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তৎক্ষণাৎ ফোন করে জানিয়েছিলাম। তখন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসে বিষয়টি দেখে গিয়েছে। এছাড়াও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবু আনছারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন প্রশিক্ষণের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তাই লিখিত অভিযোগের বিষয়টি জানি না। পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থা করছি।