আশরাফুল আলমঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা চলমান। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে সংঘর্ষে ১৯ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩ জুন) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের বাগুটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ওই গ্রামের শাজাহান মন্ডলের ছেলে সিয়ামত মণ্ডল, মোহাম্মদ আলীর ছেলে ওলিয়ার রহমান, ইনতাজ আলীর ছেলে মতিউর রহমান, নুরুল ইসলামের ছেলে মতিয়ার জোয়ার্দার, ইসমাইল মণ্ডলের ছেলে আনোয়ার হোসেন, নূর ইসলামের ছেলে শাহীন উদ্দিন, শাহজাহান মণ্ডলের ছেলে খায়বার আলী, নজির আলীর ছেলে সোনা মিয়া, আমিন লস্করের ছেলে মশিয়ার রহমান, লুৎফর আলীর ছেলে রাজন মিয়া, গোলাম রব্বানীর ছেলে মতিয়ার হোসেন, মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে বাবুল বিশ্বাস, মতিয়ার বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল মালেক, হারুন অর রশিদের ছেলে মিটুল বিশ্বাস, ফজলে মিয়ার ছেলে জিয়ারুল ইসলাম, আব্দুর রশিদের ছেলে ফয়সাল আহমেদ, মতিয়ার জোয়ার্দারের ছেলে রুবেল হোসেন, কাওসার আলীর ছেলে উজ্জ্বল হোসেন ও আজিজুল ইসলাম।
আহতদের ঝিনাইদহ সদর ও শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে বাগুটিয়া গ্রামে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম হোসেন মোল্লার অনুসারী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দীন ও সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুর অনুসারী সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেনের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো। তারই জেরে আজ দুপুরে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এ ব্যাপারে জানার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দীনের মোবাইলে একাধিক কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, মফিজ চেয়ারম্যানের কর্মীরা প্রথমে আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে আমাদের কর্মীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বাগুটিয়া গ্রামের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।