নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বহু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মূল হোতা কুষ্টিয়া পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলে সহ ১৬ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় দুইজন আসামি গ্রেফতার হয়েছে।
বাদী সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ০১ তারিখ রাতে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও শহরের মিলপাড়া এলাকার ঋষিপদ ঘোষের ছেলে কিশোর কুমার ঘোষ জগৎ (৪২), কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খানের ছেলে ও পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খাঁন মোহাম্মদ ওয়াহেদ রনি (৪০) এবং একই এলাকার মৃত মাসুদ খাঁ’র ছেলে হাসিব (৩০) এর নেতৃত্বে একটি সুসংগঠিত সন্ত্রাসী বাহিনী শহরের শ্মশানঘাট এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে জনি শেখের মালিকানাধীন পূর্ব মিলপাড়া এলাকার ৪৩/১, দেবী প্রসাদ চক্রবর্তী লেনের সিয়াম স্টোরে গিয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। ভুক্তভোগী চাঁদা দিতে অসমর্থ হলে সন্ত্রাসীরা তাঁর দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসময় সন্ত্রাসীরা দেশীয় ও আগ্নেয় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ঘটনাস্থলে ত্রাস সৃষ্টি করে। এছাড়াও রনি বাদীর স্ত্রী শিখা খাতুনকে শর্টগান দিয়ে মাথায় আঘাত করে ও শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে। পরে শিখা কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জনি বাদী হয়ে ১৩ মে ২০২৪ মহামান্য আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে মহামান্য আদালত উক্ত অভিযোগ কুষ্টিয়া মডেল থানাকে এজাহার হিসাবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। মহামান্য আদালতের নির্দেশক্রমে থানা উক্ত অভিযোগকে দ্রুত বিচার আইনের ৪ ও ৫ ধারায় মামলা হিসাবে নথিভুক্ত করেন। মামলা নং -৩৫, তারিখ: ১৮ মে ২০২৪। পুলিশ এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মিলপাড়া এলাকার মৃত মাসুদ খাঁ’র ছেলে হাসিব ও চরমিলপাড়া এলাকার শাজাহানের ছেলে সাদ্দামকে গ্রেফতার করেছে। তারা দুজনেই জগৎ ও রনির ক্যাডার বাহিনীর সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছে। কিশোর কুমার ঘোষ জগতের নেতৃত্বে ষষ্ট কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু আহাদ আল মামুন দ্বিপু মীরের উপর নির্বাচনের একদিন আগে ৫ মে রাতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাঁকে মেরে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়ে আবু আহাদ আল মামুন দ্বীপু মীর বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২০, তারিখ ৭ মে ২০২৪ ইং।
জনির দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাহেব আলী জানান, মহামান্য আদালতের নির্দেশে ১৬ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনের ৪ ও ৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত মামলায় হাসিব ও সাদ্দাম নামের দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।