আশরাফুল আলমঃ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শহীদ জিয়াউর রহমান হল কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক এবং শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজি স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, সাজিদ শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ফ্যাক্টস-ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেনকে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন— শাহ আজিজুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ টি এম মিজানুর রহমান, লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. গাজী মো. আরিফুজ্জামান খান, আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. খাইরুল ইসলাম। কমিটিকে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া শহীদ জিয়াউর রহমান হল প্রশাসনের গঠিত তিন সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজিকে। সদস্য-সচিব হিসেবে রয়েছেন আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. আ. হ. ম. নুরুল ইসলাম এবং সদস্য হিসেবে রয়েছেন সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বারী।
এর আগে, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়ার পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সাজিদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ দাফনের জন্য নিজ জেলা টাঙ্গাইলে পাঠানো হয়। জানাজায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শহীদ জিয়াউর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।