ইরাক ও সিরিয়ার পর এবার পাকিস্তানে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ ইরান। এই হামলায় পাকিস্তানের দুই শিশু নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
গতকাল মঙ্গলবার দুই দেশের সীমান্তবর্তী বেলুচিস্তান প্রদেশের একটি গ্রামে এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। ইরানের সামরিক বাহিনী সংশ্লিষ্ট একটি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ আল আদলের দুটি ঘাঁটি নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইরান। এর আগে পাকিস্তানে ইরানের এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা দেখা যায়নি। তবে ইরানের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তান বলেছে, এটা অবৈধ। এ ধরনের হামলার জন্য ইরানকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে। এ ঘটনার পর পর বেশ কড়া ভাষায় একটি বিবৃতি দিয়ে ইরান কর্তৃক আকাশসীমা লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া তেহরানে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামাবাদ।
এর আগে গাজা যুদ্ধ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে ইরাক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ হামলা চালায় ইরান। মূলত ইরাকের কুর্দি অঞ্চলে অবস্থিত ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এবং উত্তর সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) স্থাপনা নিশানা করে হামলার দাবি করেছে ইরানি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস বা আইআরজিসি।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) গভীর রাতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলা চালায় আইআরজিসি। হামলার শিকার স্থাপনার মধ্যে ইরাকে অবস্থিত ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদর দপ্তর রয়েছে বলেও দাবি করেছে তেহরান।
জানুয়ারির প্রথম দিকে ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর কেরমানে বড় একটি সমাবেশে জোড়া বোমা হামলা হয়। ওই হামলায় নিহত হন অন্তত ৯৩ জন। দিনটি ছিল ইরানের সাবেক শীর্ষ সামরিক কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানির মৃত্যুর চতুর্থ বার্ষিকীর দিন।
এই জোড়া হামলার প্রতিশোধ নিতে উত্তর সিরিয়ায় বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কথা জানায় আইআরজিসি। এসব হামলায় ইসলামিক স্টেটসহ (আইএস) ইরানে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের স্থাপনা ধসে গেছে।
অনলাইন ডেস্ক