নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর খ্যাত জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল আজম। আওয়ামী লীগ শাসনামলে অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে হয়েছেন কোটিপতি। ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি। খোলস বদলে অন্য রাজনৈতিক দলের ট্যাগ লাগিয়ে আবার দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন জেলার এক মাথা থেকে আরেক মাথায়।
সুত্র বলছে, গত এক যুগেরও অধিক সময় ধরে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদে কর্মরত আছেন সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল আজম। তার সময়কালে এই জেলা পরিষদে প্রসাশক, চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা পদে যেই দায়িত্ব নিয়েছেন তিনিই একপ্রকার বাধ্য হয়ে আজমের উপর নির্ভরশীল হয়ে যেতেন। পরিষদের মধ্যেই আজমের একটি নিজস্ব সিন্ডিকেট রয়েছে। যার সদস্য ঠিকাদার, অফিস স্টাফসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই। এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস কারোর ছিলনা। যে মুখ খুলতেন তাকেই নানা ধরনের নির্যাতন ও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতো। আজমের সিণ্ডিকেটে জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক প্রভাবশালী নেতা সদস্য ছিলেন। তাদের ক্ষমতা বলেই জেলা পরিষদের চেয়ারে বসে অনাহাসে ঠিকাদারি ব্যবসা চালিয়ে যেতেন আজম। তার নিজ নামে লাইসেন্স না থাকলেও মিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামারুল আরেফিনের অলিখিত ব্যবসায়ীক অংশীদার ছিলেন তিনি।
সুত্র আরো বলছে, কামারুলের লাইসেন্সে জেলা পরিষদ সহ একাধিক সরকারি দপ্তরে সখ্যতা তৈরির মাধ্যমে টেন্ডারের কাজ হাতিয়ে নিতেন আজম। কাজ পেতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের খুশি করতেন তিনি। ঐ কাজের থেকে পাওয়া লভ্যাংশের একটি অংশ কামারুল এবং অন্য অংশ আজম নিতেন। এছাড়া জেলা পরিষদের অনান্য ঠিকাদারী কাজে কমিশনের পাশাপাশি পাথর, সিমেন্ট, রড সরবরাহের কাজও নিতেন তিনি। এভাবে খুব সহজেই সরকারি চেয়ারের বলে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তিনি। কিনেছেন ঢাকা শহরে একাধিক ফ্ল্যাটসহ কুষ্টিয়া শহরে একাধিক জমিসহ বাড়ি। যার বিস্তারিত পরবর্তী পর্বে তুলে ধরা হবে। এছাড়া ধারাবাহিকভাবে জেলা পরিষদের অনান্য খাতে আজমের সংশ্লিষ্টতা ও দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ইতিহাস তুলে ধরা হবে। আওয়ামী লীগের এই দোসর ইতিমধ্যেই অন্য রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতার ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছেন।
কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল আজমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন,” কোন সুযোগ নেই। আপনার সাথে ফোনে কথা হবে না। সরাসরি কথা হবে, অফিসে আসেন। এরপর তিনি সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করেন।”
কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মুকুল মিত্র প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, “এ ব্যাপারে আগে কখনো শুনিনি।আপনার কাছ থেকে প্রথম শুনলাম।অভিযোগ উঠলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবো।”