নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার হোগলা চাপাইগাছি গাজী-কালু চম্পাবতীর মেলার আড়ালে বসেছে জুয়ার আসর। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে জুয়ার মেলা। মাঠের পশ্চিম পাশে বড় প্যান্ডেল করে চলছে সব থেকে বড় জুয়া দৈনিক ফাইভস্টার র্যাফেল ড্র নামের লটারি। এর পাশেই রয়েছে ভাই ভাই বুস লটারি (চরকা) জুয়া। একটু পশ্চিমে ভুট্টার মাঠে বসে ৭ টা গুটি ফড়, বৌ খেলা নামের জুয়া। আর এই জুয়া পরিচালনা করছেন কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ গ্রামের জুয়ার সম্রাট শাহিন।
স্থানীয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় এ অনৈতিক কর্মকাণ্ড চললেও অদৃশ্য কারণে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন নিশ্চুপ।
সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, হোগলা চাপাইগাছি মাঠে সূর্য না ডুবতেই বিভিন্ন এলাকা থেকে জুয়া খেলার জন্য জুয়াড়িরা জড়ো হতে থাকে। সন্ধ্যা নামতেই মাইকে নানা লোভনীয় বক্তব্য দিয়ে শুরু হয় এই খেলা। র্যাফেল ড্র চলে রাত ১২টা পর্যন্ত। আর অনান্য সব জুয়ার আসর চলে গভীর রাত পর্যন্ত। মাঠের পশ্চিম পাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে বসানো হয়েছে চর্কা, গুটি ফড়, বৌ খেলা নামের জুয়া। কমপক্ষে ১০ রকমের জুয়া চলছে সেখানে। মাঠের পশ্চিম-উত্তর পাশে বড় প্যান্ডেল করে চলছে সব থেকে বড় জুয়া দৈনিক ফাইভস্টার র্যাফেল ড্র নামের লটারি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৮-৯টা পর্যন্ত শতাধিক ইজিবাইকে করে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ২০ টাকা মূল্যের লটারির টিকিট বিক্রি করা হয়। লটারিতে রয়েছে মোটরসাইকেলসহ অনেক লোভনীয় পুরস্কার।
এলাকাবাসীরা জানান, গাজী-কালু চম্পাবতীর মেলার আড়ালে প্রকাশ্যে চলছে জুয়া। এতে অধিকাংশ পরিবারে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হচ্ছে। এইভাবে জুয়া খেলা চললে এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলেও জানান তারা।
জুয়া পরিচালনাকারী শাহিন এর সাথে কথা বলে জানা যায়, এই জুয়া সকলকে ম্যানেজ করে চালানো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, আমি এই মেলায় জুয়া খেলার বিষয়ে তথ্য পেয়েছি। ওদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, আপনার কাছ থেকে মেলায় জুয়া খেলার বিষয়ে শুনলাম। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।