কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
সংবাদ সংগ্রহকালে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চ্যানেল-২৪ টেলিভিশনের কুষ্টিয়ার সিনিয়র রিপোর্টার শরীফ বিশ্বাস ও ক্যামেরা পারসন এসআই সুমন ও বাংলাদেশ সমাচারের প্রতিনিধি বিদ্যুৎ খন্দকারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও ক্যামেরা ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জেলার সাংবাদিকরা। কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের সাংবাদিকবৃন্দর ব্যানারে রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি)বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা। মানববন্ধনে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া দর্পণ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মুজিবুল শেখ, সাপ্তাহিক রবিবার্তা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক ডাক্তার গোলাম মওলা, বাংলাভিশন টেলিভিশন ও দেশ রূপান্তরের জেলা প্রতিনিধি হাসান আলী, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন ও দৈনিক খবরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি মিলন উল্লাহ, দেশটিভির জেলা প্রতিনিধি নাহিদ হাসান তিতাস, এনটিভির জেলা প্রতিনিধি সাবিনা ইয়াসমিন শ্যামলী, দৈনিক আমার বার্তার জেলা প্রতিনিধি এনামুল হক, সিনিয়র সাংবাদিক হায়দার আলী, এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি সোহেল পারভেজ, গ্লোবাল টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সনি আজিম, কাঙাল হরিনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতি কে এম আর শাহিন, ডেইলি স্টারের জেলা প্রতিনিধি আনিছ মন্ডল, এনটিভির ক্যামেরাপারসন আশিফুজ্জামান সারফু, মাইটিভির ক্যামেরাপারসন আরিফুল ইসলাম আরিফ, ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি রাজু আহমেদ, প্রতিদিনের সংবাদের জেলা প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম ইভান, নেক্সাস টেলিভিশনের প্রতিনিধি মেজবা উদ্দিন পলাশ, নেশন টিভির প্রধান নির্বাহী ও সময়ের দিগন্ত পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ইরফান রানা, জনবাণীর জেলা প্রতিনিধি মাহফুজ হৃদয়,
দি টিচারের স্টাফ রিপোর্টার আরিফুল ইসলাম আরিফ, বাংলাদেশ সমাচারের প্রতিনিধি বিদ্যুৎ খন্দকার, দৈনিক দেশতথ্য পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ওপেলিয়া কনি, এটিএন বাংলার কুষ্টিয়ার ক্যামেরাপারসন রাব্বু, দিনের খবর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মীর রিসান, গ্লোবাল টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন মামুন আর-রশিদ প্রমুখসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রশাসনের কাছে জোর দাবি, সাংবাদিকদের মারধরে যাঁরা জড়িত দ্রুত তাদের গ্রেফতার ও তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। সাংবাদিকদের সুরক্ষায় প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের সিরাজনগর গ্রামে কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি নিজের বাবার নাম গোপন করে মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতি করে প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে চাকরি করছেন এমন অভিযোগে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করতে গেলে হামলার শিকার হন তারা। অভিযুক্ত কামাল হোসেনের সন্ত্রাসী বাহিনীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান। এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকেন। ভাঙচুর করা হয় টেলিভিশন ক্যামেরাও। একপর্যায়ে তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে স্থানীয় কয়েকজন তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। খবর পেয়ে সেখানে যান থানা-পুলিশ। এঘটনায় ওইদিন রাতেই দৌলতপুর থানায় শরীফ বিশ্বাস বাদী হয়ে এ হামলায় জড়িত ছয়জন আসামির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামায় ৮/১০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি আসামিরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।