নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুষ্টিয়ার ১২ টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন। এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিতভাবে চিঠি দিয়েছেন তিনি।
চিঠিতে বলা হয়, যেসব বেসরকারী ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রয়োজনীয় শর্তপূরণে ব্যার্থ হয়েছে তাদেরকে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- দি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লালন শাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডাক্তার ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রয়েল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, দার-উস শেফা, দি কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বৈশাখী ক্লিনিক, কুষ্টিয়া ইসলামীয়া চক্ষু হাসপাতাল, প্রাইম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ মডার্ন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আল-মদিনা ডায়াগরিক সেন্টার ও রোজ ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
লালন শাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক হারুনুর রশিদ হিরু বলেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিষয়ে নতুন যে শর্ত দিয়েছে, সেগুলো আমরা পূরণের চেষ্টা করছি। আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
সিভিল সার্জন এভাবে প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিতে পারে কিনা, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন ডাক্তার ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক ইয়ারুল ইসলাম বলেন, ওই চিঠির আলোকে ৩ জুন সিভিল সার্জনের সঙ্গে আমাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সেখান থেকে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওই চিঠি এখনো কার্যকর হয়নি। আমাদের প্রতিষ্ঠান চালু আছে, বন্ধ হয়নি।ইয়ারুল বলেন, ডিসি মহোদয় আমাদের বলেছেন, উনি (সিভিল সার্জন) একটা সুযোগ দিতে পারতেন। কিন্তু উনি সেই ধরনের কোনো সুযোগ আমাদের দেননি।যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানে এমফিল প্যাথলজিস্ট থাকা সিভিল সার্জনের শর্তের মধ্যে ছিল। এ বিষয়ে ইয়ারুল বলেন, কুষ্টিয়ায় এমফিল প্যাথলজিস্ট আছে মাত্র দুইজন, প্রতিষ্ঠান চলছে শতাধিক। তাহলে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কীভাবে চলছে, সেই বিষয়েও প্রশ্ন উত্থাপন করেন ৩০ বছর ধরে চিকিৎসা ব্যবসায় থাকা এই ব্যবসায়ী।
এ বিষয়ে কথা বলতে সিভিল সার্জন ডা. শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করে কেটে দেন। এরপর অন্তত ১০বার কল দেওয়া হলেও তিনি আর রিসিভ করেননি।