কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার ও কুষ্টিয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য এস এম রাশেদের নামে ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলা করেছেন জাহিদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি। সোমবার (২১ অক্টোবর)দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় এ মামলা করা হয়। মামলায় অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলাটির বাদী জাহিদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তিনি কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়ার বাসিন্দা ও একই এলাকার মৃত,আমির আলীর ছেলে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়ার লালন শাহের তিরোধান দিবসের মেলা থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে লালনের মেইন গেইটের পাশে পৌঁছালে বাদীর ছোট ভাই শহিদ হোসেনকে পূর্বশত্রুতার জেরে এসএম রাশেদ সহ কয়েকজন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ধারালো ছোরা, হাতুড়ি, লোহার রড, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় পোচ দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত করে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে এসময় এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়। এছাড়াও তার পকেটে থাকা ৫০হাজার টাকা লুট করে নেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক এস এম রাশেদ বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমার নিজের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা এ মামলায় আমার বিরুদ্ধে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের অংশ। প্রশাসনের কাছে দাবি পুরো ঘটনা তদন্ত করে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে এ মামলার বাদী জাহিদ হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মোবাইল মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
কুষ্টিয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনিসুজ্জামান ডাবলু বলেন, একজন পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এর পেছনে স্বার্থান্বেষী মহলের দুরভিসন্ধি ও হীন উদ্দেশ্য রয়েছে। সাজানো এ মামলা সাংবাদিকদের সামাজিকভাবে অপদস্ত ও হেয়প্রতিপন্ন করা অপচেষ্টার অংশ। মিথ্যা ও বানোয়াট এই মামলা প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এ ব্যাপারে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।