নিজস্ব প্রতিনিধি:
তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া আদালতের দুই পক্ষের দফায় দফায় হট্টগোল-মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে আদালতের দুই কর্মচারী আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পিপি সিরাজুল ইসলাম বলেন, আদালতের সেরেস্তাদার ও কর্মচারীদের সাথে টাকাপয়সা নিয়ে একব্যক্তির কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে ওই ব্যক্তি বেশ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে এসে কর্মচারীদের উপর হামলা করে। এতে রাকিব ও রাসেল দুইজন কর্মচারী আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আদালতের একটি সূত্র জানিয়েছে, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রথমে বিএনপির নেতা মহাসিনকে অপমান, অপদস্ত ও মারধর করে আদালতের কর্মচারীরা। পরে তার পরিচিতজনরা কর্মচারীদের মারধর করে। উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা। ঘটনায় মহসিনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে আদালত পুলিশ।
আদালতের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, মহাসিন নামের এক ব্যক্তি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একাউন্ট মঞ্জুরুল ইসলামের কাছে আসেন এবং টাকা নিয়ে তর্কে জড়ান। এসময় মহসিনের সাথে আদালতের কর্মচারীদের হট্টগোল হয়। এর জেরে সাড়ে ১১টার দিকে মতো মহসিন বেশ কয়েকজনকে সাথে করে এনে কর্মচারীদের মারপিট করে। এতে আহত হয়েছেন দুজন কর্মচারী। মহাসিনকে আদালত পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য মহসিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। সে বিএনপি রাজনীতির সাথে যুক্ত বলে জানা গেছে।
আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইউনুস আলী বলেন, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে হট্টগোল মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আদালত পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেনি।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, আমি একটা মিটিংয়ে আছি পরে কথা বলব এই ব্যাপারে।