কুষ্টিয়া অফিসঃ
আসন্ন নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনে নৌকার বিজয় ঠেকাতে যুবলীগ নেতাকে নিয়ে কূটকৌশলে মত্ত হয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সমর্থকরা। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ব্যরিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ’র সমর্থক ও কয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আনিসুর রহমানকে নিয়ে এই কূটকৌশলে লিপ্ত ট্রাক প্রতীকের সমর্থক আব্দুল ছাত্তার নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ও তার সহযোগীরা।
নৌকা মার্কার বিজয় ঠেকাতে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পাড়া মহল্লা ও ইউনিয়ন এলাকায় এসব কুচক্রীমহলের আধিপত্য বড় আকার ধারণ করেছে।
কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতারা জানান, আনিসুর রহমান আনিস বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক। গত ১০ বছর যাবৎ তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সফল সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে আনিসের নেতৃত্বে ইউনিয়ন যুবলীগ প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব প্রচার প্রচারণায় জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারছেন না। ট্রাক প্রতীকের নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে তারা নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে কূটকৌশল বাস্তবায়নে নেমেছেন। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছেন।
ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আনিসুর রহমান আনিস বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমাদের দেশে সবথেকে বেশি উন্নয়ন কাজ সম্পাদিত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল। দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে আমরা জনগণের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছি। জনগণ এখন অনেক সচেতন। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই তারা। নৌকার পক্ষে গণজোয়ার দেখে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা আমাকে নিয়ে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে। জনগণ নৌকা প্রতীকে তাদের ভোট প্রদান করে এই মিথ্যাচারের দাঁতভাঙা জবাব দেবে। আমি জনসাধারণের উদ্দেশ্য বলতে চাই- আপনারা কোন ধরনের কোন গুজব ও মিথ্যাচারে কান না দিয়ে ৭ই জানুয়ারী নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে পুনরায় নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ভূমিকা রাখবেন।
এদিকে যুবলীগ নেতাদের নিয়ে কূটকৌশলে লিপ্ত কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের বিরুদ্ধে আরো বেশ কিছু অভিযোগ উঠে এসেছে। বয়স্ক ভাতা করে দেওয়ার প্রলোভনে অসহায় হতদরিদ্র মানুষের থেকে কয়েক লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। ছাত্তারকে টাকা দিয়েও ভাতা না পাওয়া দু’জন ভুক্তভোগীর সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের। তারা হলেন- কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের দবির শেখের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৬৬) ও একই গ্রামের মৃত বাহের শেখের ছেলে আতাই শেখ (৬৫)। গত ৪ মাস আগে দবিবের থেকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ২ হাজার টাকা নেন অভিযুক্ত ছাত্তার। সেই টাকা ১মাস আগে ফেরতও দিয়েছেন তিনি। একই ভাবে আরেক ভুক্তভোগী আতাই শেখের থেকে ২২শ টাকা নেন ছাত্তার। এছাড়াও আরও ২০/২৫ জনের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ছাত্তারের বিরুদ্ধে। তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ছাত্তার।