নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, আর মেরুদন্ড গড়ার কাড়িগর হচ্ছে শিক্ষক। দুঃভাগ্যের বিষয় এই মেরুদন্ড এখন ভেঙ্গে নূয়ে পড়েছে। তার অন্যতম কারন কিছু অসাধু শিক্ষক। এমনই এক চিত্র ফুটে উঠেছে জেলার মিরপুর উপজেলার হালসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। চলতি এসএসসি পরীক্ষায় কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষার সময় স্কুলের কতিপয় অসাধু শিক্ষক পরীক্ষা শেষে ছাত্রদের উত্তরপত্র সমাধান করে দিচ্ছে এমন তথ্য পাওয়াগেছে। গণিত পরীক্ষার দিন হালসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম সহ কয়েকজন শিক্ষক রুমে বসে বৃত্ত পূরণ করছে। সে সময় উপস্থিত হলে উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দ হকচোকিয়ে ওঠে। পরীক্ষা শেষে খাতায় কি পূরণ করছেন এমন প্রশ্নে প্রধান শিক্ষক জানান, ‘ অনেক পরীক্ষার্থী রোল নাম্বার, ইউনিট, সাবজেট কোড ভুল করেছে সেই গুলো সংশোধন করে দিচ্ছি।’ পরীক্ষা রুমে দায়িত্বরত শিক্ষক যার দায়িত্ব এইগুলো দেখে খাতা স্বাক্ষর করবেন তিনি কি সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন এমন প্রশ্নে সদউত্তর দিতে পারেননি। তবে উপস্থিত একজন শিক্ষক জানান,‘পরীক্ষা শেষে খাতায় এইভাবে সংশোধন করা আইনগত সঠিক না।’
সমর্থীত একটি সূত্রে জানাযায়, কেন্দ্র সচিব ও হালসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম, হল সুপার ও খেজুরতলা-পাটিকাবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালেহীন, মাজিহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একরামুল হক, কে,এইচ,এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোলাইমান হোসেন হালসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশের অফিস ভবনের একটি কক্ষে সহকারী শিক্ষক (গণিত) আলিমুজ্জামান চাঁদ ও পিয়ন আলমাসের সহযোগিতায় নৈর্ব্যক্তিক উত্তরপত্র সংশোধন করছেন। সরেজমিনে দেখাযায় নৈর্ব্যক্তিক উত্তরপত্রগুলো শিক্ষকদের সামনে এলোমেলো ভাবে আছে। একজন শিক্ষক উত্তরপত্রে বৃত্তভরাট করছে। এমনকি কয়েকটি উত্তরপত্রে ৩০ টির স্থলে ৩১ টি পুরন করা। স্থানীয়রা জানান, ‘হালসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম ও সহকারী গণিত শিক্ষক আলিমুজ্জামান চাঁদ উভয়ই স্কুলের শিক্ষার্থীদের গণিত ও উচ্চতর গণিত বিষয়ে প্রাইভেট পড়ান। তাদের কাছে প্রাইভেট পড়ুয়া এসব শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনের জন্য চিহ্নিত এসব পরীক্ষার্থীদের লিখিত ও নৈর্ব্যক্তিক উত্তরপত্র সংশোধন ও নকল সরবরাহ করে থাকেন। হালসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের একটি অংশ টাকার বিনিময়ে অসদুপায়ে পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতা করে থাকেন।
এঘটনায় কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এমন ঘটনা শুনেছি। আমরা নজর দারিতে রেখেছি।