Pathikrit Most Popular Online NewsPaper

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    কুষ্টিয়ার ২৬নং জগতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাসেল হোসেনসহ দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু। তদন্ত কমিটির উপস্থিতে অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ।

    মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১২ টার দিকে জগতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এই প্রধান শিক্ষক ও জেসমিন আরা ও রাফিজাতুল কোবরার বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীন বদলির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা ও এলাকাবাসী। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী কুষ্টিয়া সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। সেখানে তারা উল্লেখ করেন, তাদের সন্তানদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে প্রধান শিক্ষক ও অভিযুক্ত দুই শিক্ষিকা। তারা শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিক প্রহর করে থাকেন। এছাড়াও স্কুল এর অফিস কক্ষে বসেই শিক্ষার্থীদের দিয়ে দোকান থেকে সিগারেটটা এনে প্রকাশ্যে ধূমপান করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ তোলেন অভিভাবকরা। তিনি ঠিকভাবে স্কুলে আসেন না বলেও অভিযোগ করেন তারা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম স্কুলে আসেন। তদন্ত টিমের সদস্যরা অভিযোগকারীদের থেকে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ গ্রহণ করেন। এ সময় বাইরে কিছু অভিভাবক ও এলাকাবাসী জড়ো হয়ে প্রধান শিক্ষকের বদলির জন্য বিক্ষোভ করে।

    কয়েকজন অভিভাবকরা বলেন, প্রধান শিক্ষক রাসেল হোসেন স্কুলে বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছেন। স্কুলে সরকারি বরাদ্দ করা অর্থ স্কুলের জন্য ব্যয় করেন না। ঠিক মত বিদ্যালয় আসেন না। স্কুল চলাকালীন সময়ে স্কুলে মাদক সেবন করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন অনিয়ম–দুর্নীতি করলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দ্রুত তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়াসহ তাকে এই স্কুল থেকে বদলির দাবি জানান তারা।অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক রাসেল হেসেন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি এই স্কুলে যোগদানের পর স্কুলের লেখাপড়ার মান উন্নয়ন হয়েছে। তারা যে অভিযোগ দিয়েছে তার তদন্ত চলছে। তদন্ত করে যদি আমি দোষী হলে আমি তার দায় নেব। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহবায়ক উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার জহরুল আলম বলেন, আমরা অভিভাব, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগগুলো নিয়েছি। সাত অথবা দশ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত করে আপনাদের জানাবো।

    Spread the love