Pathikrit Most Popular Online NewsPaper

    বাম থেকে অনশনরত নারী ও অভিযুক্ত মিজাই ব্যাপারী

    কুষ্টিয়া অফিসঃ

    কুষ্টিয়ায় বিধবা নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অর্ধ বছর ধরে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে মিজাই ব্যাপারী (৪৭) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ঐ নারী বিয়ের দাবিতে অভিযুক্ত মিজা ব্যাপারীর বাড়িতে অবস্থান নিলে তাকে মারধর করে বের করে দিয়েছেন অভিযুক্তের সহযোগী ও পরিবারের সদস্যরা। এমনটিই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ঐ বিধবা নারী।

    অভিযুক্ত মিজাই কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকুলা এলাকার মুঞ্জিল ব্যাপারীর ছেলে। ভুক্তভোগী একই ইউনিয়নের নওয়াপাড়া ভাটাপাড়া এলাকার বিধবা নারী।

    সোমবার (১৩ মে) বেলা ১ টার সময় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়া বাজার সংলগ্ন মিজাইয়ের বাড়িতে প্রায় ৩ ঘন্টা বিয়ের দাবিতে অনশন করেন ঐ নারী। এর আগেও গত ১০ দিন আগে ভুক্তভোগী ঐ নারী মিজাইয়ের গ্রামের বাড়ি দহকুলায় একই দাবিতে অবস্থান নিয়েছিলেন। সেসময় মিজা ব্যাপারীর ব্যবসায়ীক পার্টনার রেজাউল তাকে বিয়ের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেন।

    প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী ঐ নারী জানান, প্রায় ৭-৮ মাস আগে আমার সাথে মিজাইয়ের সম্পর্ক হয়। মিজাই তখন থেকেই আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে। মিজাই প্রায় প্রতিদিনই স্বামী’র মতো আমার বাড়িতে যাতায়াত করতো। খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে থাকতো। আমার এলাকার সবাই সেটা জানে। আমার বাড়ি মিজাইয়ের ভাটার পাশে হওয়ার কারনে সে বেশিরভাগ সময় আমার বাড়িতেই সময় কাটাতো। এখন আমাকে সে বিয়ে করতে চাচ্ছেনা। সবাই জানাজানি হয়ে গেছে যে, তার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। ৭-৮ মাস ধরে আমাকে বউয়ের মতো ব্যবহার করেছে সে। আমার এলাকায় আমার আর কোন মানসম্মান নাই। সব শেষ হয়ে গেছে আমার। আমি কয়েকবার তাকে বিয়ের কথা বলেছি, সে এখন রাজি হচ্ছেনা। আমি তার বাড়িতে গেলে আমাকে মারধর করে বের করে দেয়। আমি এর বিচার চাই। আমি আইনগত সহায়তার জন্য থানায় যাবো। আমি যদি কোন বিচার না পাই তাহলে বিষ খাবো নয়তো গলাই দড়ি নিবো।

    এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ঐ নারীর প্রতিবেশীরা জানান, আমরা তো সবাই জানি মিজাই ব্যাপারী ও ঐ নারী দুজনে স্বামী-স্ত্রী। মিজাই প্রতিদিন ঐ নারীর বাড়িতে যাতায়াত করতো। এখানে মাঝে মাঝে থাকতো। হঠাৎ এখন শুনছি তাদের বিয়ে হয়নি। স্বামী-স্ত্রী না। এই মহিলা অসহায় বিধবা একটা নারী। আমরা চাই এর একটা বিচার হোক।

    মিজাইয়ের ব্যবসায়ীক পার্টনার রেজাউলের সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঐ মহিলার সাথে আমার পার্টনার মিজাইয়ের কোন পার্কে বসা ছবি ও দৈহিক সম্পর্ক করা কোন ভিডিও ক্লিপ কি আছে নাকি? থাকলে দেন আমাকে। তাছাড়া আমি এবিষয়ে কোন কিছু জানিনা।

    অভিযুক্ত মিজাই ব্যাপারীর সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ওই মহিলাকে চিনিও না, কখনো দেখিও নাই। তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই।

    এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোঃ সোহেল রানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

    Spread the love