Pathikrit Most Popular Online NewsPaper

    ছবি: পথিকৃৎ

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    কুষ্টিয়া হাইস্কুল মাঠে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পুনাকের ব্যানারে মেলা আয়োজনের অভিযোগে মেলার কার্যক্রম বন্ধ করেছিল কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। কিন্তু এর মধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে মেলার গেট, স্টল, সৌন্দর্য বর্ধক ও বিভিন্ন ধরনের বিনোদনের আনুষঙ্গিক সহ সকল কার্যক্রম শেষের পযায়। এরই মধ্যে সকল স্টলের ব্যবসায়ীরা এসে ডেকোরেশন করে তাদের ব্যবসার মালামাল ও সাজিয়ে ফেলেছে বিক্রির আশায়। মেলা উদ্বোধনের ঘোষণা দিয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু এরই মধ্যে হুট করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় এই মেলা আর উদ্বোধন করা হবে না মেলা গুটিয়ে আপনারা চলে যান। আকস্মিকভাবে এমন ঘোষণায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছে মেলার আয়োজক কমিটি ও ব্যবসায়ীরা। প্রায় কোটি টাকা ইতিমধ্যে খরচ করে ফেলেছে মেলার আয়োজক কমিটি ও ব্যবসায়ীরা। এখন যদি এই মেলা বন্ধ করে গুটিয়ে নিতে হয় তাহলে আরো ১০-১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যাবে। এতে কয়েকশ’ ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্র এন এস রোড সংলগ্ন কুষ্টিয়া হাই স্কুল মাঠে ‘এক মাসব্যাপী পুনাক শিল্প ও পন্য মেলা ২০২৫’ নামে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় কাপড়, ইলেক্ট্রনিক্স, খেলনা, খাবার ও বাচ্চাদের বিনোদনের বিভিন্ন রাইডার এই মেলায় রয়েছে।

    এ বিষয়ে মেলার দোকানদারদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা প্রায় ১০-১৫ দিন হয়েছে এই মেলায় স্টল ডেকোরেশন করে দোকানপাট গুছিয়েছি পণ্য বিক্রয় জন্য। কিন্তু আকস্মিকভাবে মেলা বন্ধের ঘোষণায় আমরা স্তদ্ধ হয়ে পড়েছি। আমরা প্রতিটি দোকানেই ২৩ জন করে কর্মচারী বসিয়ে রেখেছি। ধার দেনা এবং বিভিন্ন জায়গায় লোন করে আমরা এই মেলায় এসেছি। এই মেলার উপরেই আমাদের পরিবারের সংসার চালানো এবং ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া নির্ভর করছে। এমনিতেই ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো না। তার উপরে যদি এখন এই মেলা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমাদের জীবনে এক দুর্বিষহ নেমে আসবে। আমরা তো মেলা করেই খাই। এই কর্মটাই আমাদের জানা আছে। আমাদের প্রত্যেকটি স্টলে তিন চার জন করে কর্মচারী রয়েছে তাদের সংসার এই মেলার উপরই নির্ভরশীল। আমরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছি এই বলেই কান্নাকাটি শুরু করে মেলার দোকানদাররা কাঁদতে কাঁদতে হাতটা ধরে বলতে থাকেন আমাদেরকে বাঁচান ভাই। এখান থেকে যে মেলা গুছিয়ে নিয়ে যাব সে অর্থও আমাদের কাছে নেই। আমরা তো মেলা শুরুই করতে পারিনি তার আগেই বন্ধ করে দিল। আমাদেরকে মেলার অনুমতি জন্য আপনাদের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমাদের সংসার পরিবারকে রক্ষা করুন। আমাদেরকে কর্ম করে খেতে দিন।

    এ বিষয়ে মেলা কমিটির মহসিন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে এই মেলা আয়োজন করতে। বিভিন্ন জায়গায় দেনা দার হয়ে পড়েছি। প্রশাসন থেকে প্রথমে মেলার অনুমতি দিলেও শেষ মুহূর্তে এসে মেলাটি বন্ধ করার ঘোষণায় আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এখন যদি এই শেষ মুহূর্তে এসে মেলা বন্ধ করতে হয় তাহলে আমরা সব ব্যবসায়ীরা সকলেই চরম ক্ষতির সম্মুখীন হব। আমরা কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবি করছি মেলাটি যেন আমরা করতে পারি।

    Spread the love