নিজস্ব প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষকসহ অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের প্রধান সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ করেন তারা। সকাল সাড়ে ১০ টাই শুরু হওয়া আন্দোলন চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। এসময় কুষ্টিয়া দাদাপুর সড়ক বন্ধ করে দেয় শিক্ষার্থীরা। এতে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করার ফলে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে অনেকটাই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং যানজট লেগে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েন সড়কের যাত্রীরা।
বিকেল ৩টার সময় কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে। পরবর্তীতে সড়কের চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) তারেক জুবায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ শাহজালাল ও কলেজের শিক্ষক কামরুজ্জামান সম্রাট নানা সময়ে প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের সঙ্গে অসদাচারণ করেন। ছাত্রীদের কাছে পাঠানো অভিযুক্ত শিক্ষকদের মেসেজের প্রমাণও (স্ক্রিনশট) আছে আমাদের কাছে। আমরা সপ্তাহখানেক আগে আন্দোলন করেছিলাম। তার প্রেক্ষিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সমাধানের আশ্বাস দিলেও কোনো সমাধান করেনি।
অভিযুক্তরা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা জানান, আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সঠিক না। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত করলে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) তারেক জুবায়ের এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযুক্ত দুই শিক্ষককের বিষয়ে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে একজন বর্তমান ছাত্র, একজন প্রাক্তন ছাত্র, অভিভাবক সদস্যও রয়েছে। আপাতত অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। আজ আমি ছুটিতে আছি। খোঁজ খবর নিয়ে এ বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।