নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ’র লেখালেখির অভ্যাস আমার ছাত্র জীবন থেকেই৷ দেয়াল পত্রিকাসহ অন্যান্য জায়গায় লেখালেখি করে তিনি বেশ সুনাম কুড়িয়েছিলেন৷ কিন্তু পুলিশের চাকরিতে যোগদান করার পর চাকরিরত অবস্থায় লেখালেখি করার খুব একটা অভ্যাস না থাকলেও পেশাগত কাজের লেখায় তার যথেষ্ট সুনাম ছিল৷ অবসর জীবনে আসার পর তিনি আবার লেখালেখির কাজ শুরু করেন৷ ২০২০ সালে অমর একুশে বইমেলায় তার আত্মজৈবনিক উপন্যাস “এক পুলিশের না বলা গল্প” বইটা প্রকাশিত হওয়ার পর তা বেস্ট সেলার বই হিসেবে খ্যাতি লাভ করে৷
তারপর ২০২১ সালে দুইটি, ২০২২ সালে তিনটি, ২০২৩ সালে চারটি এবং ২০২৪ সালে আরো দুটি বইসহ সর্বমোট ১২টি বই এ যাবত অবধি তার প্রকাশিত হয়েছে৷ এর মধ্যে “কাছের বন্ধু গ্রাম পুলিশ” বইটি দেশের সাতচল্লিশ হাজার গ্রাম পুলিশের হৃদয়ের মনিকোঠায় ঠাই করে নিয়েছে৷ সাহিত্যে এসব অবদানের জন্য তিনি ডাক বাংলা সাহিত্য একাডেমি, জাগ্রত সাহিত্য পরিষদ, রবীন্দ্র সাহিত্য পরিষদ এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে বছর সেরা লেখক হিসেবে পুরস্কার পান৷ তার এই বিশেষ অবদানের কথা জেনে সোমবার (১১ মার্চ ২০২৪) সকালে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি কুষ্টিয়া তাকে এক বিশেষ সংবর্ধনা প্রদান করে৷
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানী।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মওলা বক্স৷ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান৷ অনুষ্ঠানে সাহিত্যে তার সাফল্যের জন্য সবাই ভূয়সী প্রশংসা করে ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির জন্য আরো বই উপহার দেয়ার নিমিত্ত সাহিত্যকর্ম চালিয়ে যাওয়ার জন্য তার প্রতি অনুরোধ রাখেন৷