নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, কুমারখালী-খোকসায় সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আমি মনে করি না। যেখানে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের খুলনা বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বসে আছেন। ঠিক তার আধা ঘন্টা আগে আমার আমবাড়িয়া নির্বাচনী অফিস একদম ভেঙে চুরে ফেলা হয়েছে। গত রাত্রে আমি গ্রামের বাড়িতে বসে আছি। হঠাৎ ফোনে জানতে পারলাম আমার কুমারখালীর বাড়িতে রফিক কাউন্সিলর, বাবু কাউন্সিলর ও শাহিন কাউন্সিলরের নেতৃত্বে কিছু সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। বাড়ির সামনে টানানো পোস্টার ছিড়ে ফেলেছে ওই সন্ত্রাসীরা। ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গিয়ে বলেছেন এটা এই বাড়ির ছেলেপেলেও করতে পারে। ইতোপূর্বেও আমার কর্মীকে হাতুড়ি পেটা করা হয়েছে। টিপু বাহিনীর কিছু সন্ত্রাসীরা আমার কর্মীদের কাছে চাঁদা দাবি করছে। তারা বলেছে ভোটও দিবি, চাঁদাও দিবি। এই টিপু সেলিম আলতাফ জর্জের লোক। আমি এসব সন্ত্রাসীদের ধরে আইনের আওতায় আনা সহ এসব অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল বাড়ানোর জোর দাবি জানাচ্ছি।
খোকসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমবাড়িয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর অফিস ভাংচুরের বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে এ বিষয়টি ডিসি স্যার আমাকে জানিয়েছেন। আমি ওসি সাহেবের কাছে শুনেছি, তার কাছেও কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
” মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে খুলনা বিভাগীয় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান সকল প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের জানান, “ভোট সুষ্ঠু করতে বর্তমান নির্বাচন কমিশন জিরো টলারেন্স মন্ত্রে বিশ্বসী। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সে যত শক্তিশালীই হোক আর দূর্বলই হোক। সবাই কমিশনের কাছে সমান। একটা দুইটা সহিংস ঘটনায় কথা না শুনলে পত্র দেওয়া হবে, পত্রে কাজ না হলে একশন, এমনকি বেশি সহিংসতা করলে প্রার্থীতাও বাতিল হতে পারে।”