Pathikrit Most Popular Online NewsPaper

    ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের পাশ দিয়ে হাঁটছেন সাংবাদিকরা। ছবি : সংগৃহীত

    ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আলা আবু মুয়ামের নামে আরেকজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলি হামলায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে। গাজার জনসংযোগ দপ্তরের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

    গাজার জনসংযোগ দপ্তরের দাবি, গাজায় ইচ্ছাকৃতভাবে সাংবাদিকদের হত্যা করছে ইসরায়েলি সেনারা। যুদ্ধ নিয়ে ফিলিস্তিনি কণ্ঠকে নীরব ও সত্যকে আড়াল করতে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে খবর ও তথ্য পৌঁছাতে বাধা দিতে এসব করছে তারা।

    গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে প্রায় ১১৪০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল।

    ইসরায়েলি হামলায় গত দুই দিনে ৩৯০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭৩৪ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ২০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা আছে কয়েক হাজার। ২৩ লাখ মানুষের গাজায় চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। প্রায় ৬ লাখ মানুষ ক্ষুধা ও অনাহারের মধ্যে রয়েছে।

    এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বাধাহীনভাবে ত্রাণসহায়তা পাঠাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটি ১৩-০ ভোটে পাস হয়। নিরাপত্তা পরিষদের মোট ১৫ দেশের মধ্যে ১৩ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল।

    সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। শুরুর দিকে এর খসড়ায় গাজায় অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা পাঠানোর প্রস্তাব রাখা হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার কারণে যুদ্ধবিরতি কথাটি সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে শুধু মানবিক সহায়তার কথা বলা হয়। প্রস্তাবটি এক সপ্তাহ ঝুলে থাকার পর পাস হলেও এতে যুদ্ধ থামানোর কোনো কথা বলা হয়নি। ফলে গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

    কালবেলা

    Spread the love