নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
অনেক ব্যাস্ততার মধ্যে একটু সময় পেলেই নিরিবিলি পরিবেশে দুঃশ্চিন্তা মুক্ত সময় কাটাতে কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতুর নিচে গড়াই নদীর পাড়ে ঘুরতে আসে বিনোদন প্রেমীরা। সেই স্থানটি এখন আতঙ্কে পরিণত করেছে কিছু চাঁদাবাজ ও খারাপ প্রকৃতির মানুষ।
জানা যায়, গত ১৩ জানুয়ারি বিকেলে মিশুক আহমেদ ও তার এক বান্ধবী গড়াই নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিল। এমন সময় কতিপয় দুষ্কৃতিকারী তাদেরকে আটক করে এবং বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রর্দশন করে ও চাঁদা দাবি করে। তারা চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় দূষ্কৃতিকারীরা মেয়েটিকে ছেলেটির থেকে আলাদা করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে তারা দূষ্কৃতিকারীদেরকে নগদ ১ হাজার টাকা ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ৩হাজার টাকা সহ মোট ৪হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে ও আরো চাঁদা দেওয়ার সত্ত্বে ছাড়া পায়। পরদিন দূষ্কৃতিকারীরা পুনরায় ভিক্টিমদেরকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করে না দিলে বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়।
এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নজরে আসে জেলা পুলিশের। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ দুষ্কৃতিকারীদের ধরতে তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত ঘটনার সাথে জড়িত চার জনকে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর (১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা) আব্দুল হান্নানের ছেলে আসিফ হোসেন (২৪), আলীমের ছেলে মেহেদী হাসান (২২), মৃত জহুরুল ইসলামের ছেলে সোহাগ ইসলাম (২৪) ও মাসুদ শেখের ছেলে কবির শেখ (১৯)। তাদের সকলের বাড়ি একই এলাকায়।
কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুল হক চৌধুরী (পিপিএম) জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি মেয়ের ভিডিও ভাইরাল হয়। বিষয়টি জেলা পুলিশের নজরে আসে। পরবর্তীতে সকলের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আমরা চাঁদাবাজ ও ধর্ষণ চেষ্টা চালানো দুষ্কৃতিকারীদের সনাক্ত করি। এবং বুধবার তাদের চারজনকে হরিপুর থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এবিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় ভিকটিমের মা বাদি হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১৮, তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০২৪। ধারা-৯ (৪) (খ)/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) তৎসহ ৩৪১/৩২৩/৩৮৫ /৩৮৬/৫০৬ The Penal Code, 1860; ধর্ষণের চেষ্টা ও সহায়তা সহ ঘিরে ধরিয়া মারপিট করত: চাঁদাদাবি এবং চাঁদা গ্রহণ, ভীতি প্রদর্শনের অপরাধ।