নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ময়না খাতুন কুষ্টিয়া র্যাব-১২, সিপিসি-১ এর হাতে গ্রেফতার হয়েছে।
ময়না খাতুন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের খাজার স্ত্রী।
র্যাব-১২, সিপিসি-১ প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান, “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণ ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সদা তৎপর রয়েছে র্যাব।
র্যাব-১২, সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার কিশোর রায় জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ইং তারিখ কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানাধীন নওদাপাড়া গ্রামস্থ জনৈক মনোয়ারা বেগম এর বাড়ীর সামনে অবৈধ হেরোইন ক্রয়/বিক্রয়ের জন্য নিজ হেফাজতে রাখিয়া অবস্থান করাকালে গ্রেফতার হন কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের ময়না খাতুন।
উক্ত ঘটনায় কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানায় ময়না খাতুনের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়, যার মামলা নং-১, তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ধারা-১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯(১) এর ১(খ)। উক্ত মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২৮ নভেম্বর ২০২১ সালে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড সাজা দিয়ে রায় প্রদান করেন। আটক হওয়ার পর প্রায় ৭ মাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান ময়না খাতুন। এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে তিনি ঢাকায় চলে যান এবং ঢাকায় বিবাহ করে সংসার শুরু করেন। পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতারের ব্যাপারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জ র্যাব-১২ অধিনায়ক মারুফ হোসেন (পিপিএম) এর দিকনির্দেশনায় সিপিসি-২, র্যাব-৪ এবং সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প, র্যাব-১২ এর অভিযানে গত রাত ১০টায় ঢাকা জেলার সাভার থানা এলাকা হতে উক্ত মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ময়না খাতুন (৩৭) কে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে প্রেরণ করতঃ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।