কুষ্টিয়া অফিসঃ
কুষ্টিয়ার খাজানগরে দেশের বৃহত্তম চালের মোকামে অভিযানে নেমেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। অবৈধ মজুতসহ কেউ কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি করছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন মন্ত্রী ও তার টিমের সদস্যরা।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর থেকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের নেতৃত্বে এই অভিযান চলছে। এ সময় অবৈধভাবে আটা মজুত করায় মেসার্স সুবর্ণা অটো ফ্লাওয়ার মিলের গোডাউন সিলগালা করা হয়। এ ছাড়া অবৈধ ধান মজুতের চিত্র পেয়ে আরেকটি মিলের ধানের গোডাউন সিলগালা করা হয়েছে।
তবে বাংলাদেশ রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুর রশিদ এর মিলে গিয়ে মেলেনি কোন ধরনের মজুদ। তবে এবিষয় নিয়ে জনমনে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন চালের দাম বাড়ানোর মূল কারিগর যিনি তার মিলে মজুত নেই ধান যা হাস্যকর।
এ সময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অবৈধ মজুতসহ কেউ কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি করছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
অভিযানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব সহ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চালকল মালিক, আমদানীকারক, পাইকরি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়ে শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন শুধু রমজানে নয় কোন মাসেও চালসহ নিত্যপন্য দ্রব্যাদীর দাম বৃদ্ধি পাবে না। নির্বাচনের ইস্তেহার অনুযায়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক নিত্যপন্য জিনিসপত্রের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আওয়ামীলীগের নতুন সরকার গঠনের পর অতিরিক্ত মজুদারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এবং অনেকেই জরিমানাসহ প্রতিষ্ঠান সীলগালা হচ্ছে। চালের মিলার বিষয়ে তিনি বলেন একজন মিল মালিকের তিন থেকে চারটি পর্যন্ত লাইসেন্স আছে। কিন্তু এবার থেকে একজনের মিলারের একটি করে লাইসেন্স থাকবে। বাঁকীগুলো চালের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন মিল মালিকের বিরুদ্ধে নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারী ও নীতিমালার নিয়ম অনুযায়ী নতুন ধারায় আইন তৈরি করা হচ্ছে।