নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মানুষ ও ধরিত্রীর বন্ধন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল উদ্ভাবন” এই প্রতিপাদ্যে নিয়ে কুষ্টিয়ায় বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রোববার (৩ মার্চ) সন্ধা সাড়ে সাতটায় বাংলাদেশ জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ ফেডারেশন বিবিসি এফ এর সহযোগী সংগঠন মানুষ মানুষের জন্য কুষ্টিয়ার আয়োজনে শহরের হাসপাতাল রোড়স্থ মানুষ মানুষের জন্য কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বিবিসিএফ এর সহ সভাপতি ও মানুষ মানুষের জন্য কুষ্টিয়ার পরিচালক শাহাবউদ্দিন মিলনের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিবিসিএফ এর সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া বার্ড ক্লাবের সভাপতি এস আই সোহেল, প্রকৃতির বন্ধু ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়ার প্রতিষ্ঠাতা নাব্বির আল নাফিজ, সামাজিক সংগঠন ভিন্ন দৃষ্টির প্রতিষ্ঠাতা আসাদুজ্জামান আসাদ, মানুষ মানুষের জন্য কুষ্টিয়ার মীর কুশল, আনাস ইউসুফ খান প্রমুখ।
বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসের সভায় শাহাবউদ্দিন মিলন বলেন, সুন্দরবনের বাঘ, হরিণ, ভোদড়, হাঙর, ইরাবতী ডলফিন, শুশুক, কচ্ছপ, শকুন, শাপলাপাতা মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী আজ মহাবিপন্ন, বিপন্ন ও সংকটাপন্ন তালিকার অন্তর্ভুক্ত।
জাতিসংঘের আইইউসিএন, ১৮৩টি দেশ স্বাক্ষরিত সাইটিশ চুক্তি ও বন্যপ্রাণী আইন সংরক্ষণ আইন ২০১২ অনুযায়ী বাংলাদেশের ৪৩টি স্থলচর স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৮৪টি পাখি, ৫০টি সরীসৃপ, ১৬টি বাদুড়/শাপলাপাতা মাছ, ১২টি হাঙর/কামুট এবং ২টি উভচর প্রাণী মহাবিপন্ন, বিপন্ন এবং সংকটাপন্ন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
অতিথির বক্তব্যে এসআই সোহেল বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে ১৮ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্র পরিবেশ রক্ষা ও উন্নতি বিধান এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণী বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অক্ষুণ্ন রাখবে ও নিরাপত্তা বিধানে সচেষ্ট থাকবে।
এসময় নাব্বির আল নাফিজ বলেন, বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য দুর্নীতি বিস্তার করে, সেই সাথে আইনের শাসন এবং বন্যপ্রাণী ও বন্য পরিবেশের পাশে বসবাসকারী সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে ফেলে।
তিনি আরো বলেন, চোরাকারবারি, মুনাফালোভী ব্যবসা-বাণিজ্য, বাঘ-হরিণসহ বন্যপ্রাণী হত্যা, বৃক্ষ নিধন ও বিষপ্রয়োগে মাছ নিধন বন্ধ করতে না পারলে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীর অস্তিত্ব টিকে থাকবে না।