কুষ্টিয়া অফিসঃ
কুষ্টিয়ার ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে মধুপুর কলার হাট। এর ফলে সড়কে যানবহন চলাচলে মারাত্মক বাধাঁগ্রস্ত হচ্ছে। এতে করে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। বিষয়টি ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে সরকার প্রতি বছর এ বাজার থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করলে ও বাজারে জায়গা স্বল্প তার কারণে গ্রামের কৃষকের উৎপাদিত পণ্য মহা সড়কের উপর বিক্রি করতে হয়।
জানা গেছে, প্রতি সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘন্টা কলার হাট বসে।গ্রাম-গঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ এই হাটে কলা বিক্রির জন্য নিয়ে আসে। হাটটি ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের সাথে লাগুয়া। এ কারণে ব্যাপারীরা কলা মহাসড়কের উপরে রেখেই যানবহন লোড করেন। ফলে ওই সড়কে প্রতিদিন একপাশ বন্ধ থাকে এতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। হাটের পাশেই রয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল। যদিও প্রায় কোটি টাকা ডাক হয় এই কলার হাট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কলার ব্যাপারি জানান, জায়গা না থাকার কারণে আমাদের কলা গাড়িতে মহাসড়কের উপর রেখেই লোড করতে হয়। সাড়া দিন মহাসড়কে একপাশ বন্ধ থাকে বলেও জানান তিনি।
মহাসড়কের নিয়ন্ত্রণ রেখা কতটুকু তা ২০২১ সালের মহাসড়ক আইনে নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে। সেখানে বলা হয়েছে, মহাসড়কের দুই পাশের ভূমির প্রান্তসীমা থেকে ১০ মিটার বা সরকার কর্তৃক গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নির্ধারিত রেখাই হবে নিয়ন্ত্রণ রেখা।
মহাসড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ সম্পর্কিত একটি উপধারায় বলা হয়েছে, সরকারের অনুমোদন ব্যতীত মহাসড়কের সংরক্ষণ রেখার মধ্যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ, হাটবাজার বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে মহাসড়কের কোনো অংশ ব্যবহার করা যাবে না।
এদিকে গত ১৬ জানুয়ারি জনসাধারণের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে সারাদেশে মহাসড়কের লাগোয়া হাটবাজার ও স্থাপনার পাশাপাশি নসিমন-করিমনের মত যানবাহন তিন মাসের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
তবে এই সব আইন কাগজে কলমে। বাস্তবে এর প্রয়োগ কুষ্টিয়া বাসীর চোখে পড়ে না।
কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার সাব-ইন্সপেক্টর জয়ন্ত জানান, মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রায়ই অভিযান চালিয়ে তাদের সড়িয়ে দি।
এ ব্যাপারে দুধসর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হায়দার স্বপন জানান, মহাসড়ক দখল করে হাট বাজার বসানো অবশ্যই ঠিক নয়।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পার্থ প্রতিম শীল বলেন, মহাসড়কে হাট বসানোর কোন সুযোগ নেই। যদি এমনটি হয়ে থাকে তবে কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।