আব্দুস সালাম:
গ্রীষ্মের দাবদাহ আসার আগেই বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা কুষ্টিয়ায় নিরাপদ সুপেয় পানির সংকট শুরু হয়ে গেছে। তীব্র গরম পড়ার সাথে সাথে এই পানি সংকট আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। পানি সংকট নিরসনে সরকারি-বেসরকারিভাবে অতিদ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে এই এলাকার জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে আসতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কুষ্টিয়া শহরসহ আশেপাশের গ্রামীণ এলাকাগুলোতে বেশিরভাগ টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। সুপেয় পানির অন্যান্য উৎসগুলো শুকিয়ে গিয়েছে। খাবার পানি সংগ্রহ করতে বেশ দুরত্বে ছুটতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কোথাও কোথাও সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করে পানি সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। খাবার পানি পেতে শহরের অনেকেই শক্তিশালী সাবমার্সিবল পাম্প ব্যবহার করে পানি উত্তোলন করছেন। সেটা শুধুমাত্র বহুতল ভবনের বাস্তবতা। কিন্তু শহরের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের সুপেয় পানির হাহাকার কমছে না। রমজানে সকলের একই সময়ে পানি প্রয়োজন হওয়ায় সুপেয় পানি প্রাপ্তি আরও দুষ্কর হতে পারে।
জানা যায়, ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনে সপ্তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। এখানে কৃষিকাজ সহ প্রায় সকল ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভর করতে হয়। এছাড়া পদ্মা ও গড়াই নদীর পানি স্বল্পতার কারণে এবছর চাষাবাদে ভূগর্ভস্থ পানির চাহিদা আরও বাড়বে। ফলে এখন যে টিউবওয়েল গুলো থেকে সুপেয় পানি উঠছে কিছুদিন পরে সেগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে। এতে সুপেয় পানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করবে। ফলে এই এলাকার মানুষের পানির জন্য হাহাকার সৃষ্টি হবে।
স্থানীয়রা জানান, এখনই বেশিরভাগ টিউবওয়েলে পানি উঠা বন্ধ হয়ে গেছে। কিছুদিন পরে এই পানির সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করবে। রমজানে সবার একই সময়ে পানি প্রয়োজন হবে। এতে করে পানযোগ্য পানি পেতে আরও বেগ পেতে হবে। এছাড়াও তাঁরা সুপেয় পানির সংকট নিরসনে সরকারি-বেসরকারিভাবে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।