কুষ্টিয়া অফিসঃ
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের দুইটি পুকুর ইজারা দিতে তিন বছর ধরে কোনপ্রকার টেন্ডার হয় না। কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় পুকুর দুইটিতে পুরোদমে মাছ চাষ ও টিকিটের মাধ্যমে উৎসব করে মাছ ধরা হলেও তা তারা জানেন না। তাই পুকুর দুইটি সশরীরী ভূতে চাষ করছে বলে মন্তব্য করেন স্থানীয়রা। এদিকে বছরের পর বছর টেন্ডার না হওয়ায় সরকার এখান থেকে প্রতিবছর মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের পুকুর দুটইটিতে প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে মাছ ছাড়া হয়। বছরে দুইবার টিকিট ছেড়ে জমকালো আলোকসজ্জা করে সারাদেশ থেকে মৎস শিকারীরা এসে মাছ ধরে। ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে টেন্ডার বন্ধ রেখে চাষাবাদ করে। সুতরাং কে বা কারা পুকুরে মাছ চাষ করছে এবিষয়ে কর্তৃপক্ষের অজ্ঞাত থাকাটা হাস্যকর।
সূত্রে জানা যায়, চৌড়হাস মৌজার ৭ নং খতিয়ানের ৭৩৩৫ নং দাগে ২ একর ৫৮ শতকের উপর হাসপাতালের পুকুর। এই পুকুর থেকে সরকার প্রতি বছরে কমপক্ষে তিন লক্ষ টাকা রাজস্ব পেতে পারে। সেজন্য যথাযথভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে পুকুর দুইটি ইজারা দিতে হবে। বিগত তিন বছর যথাযথ প্রক্রিয়ায় টেন্ডার না হওয়ায় সরকার অন্তত নয় লক্ষ টাকা রাজস্ব হারিয়েছে।শনিবার (০৯ মার্চ) দুপুর ১:১৫ টার দিকে হাসপাতালের বড়ো পুকুরে বড় বড় ঢপে করে আধা কেজি ওজনের ৩৮ মণ রুই মাছের পোনা ছাড়া হয়। যা নিশ্চিত করে মাছের পোনা ছাড়তে আসা হ্যাচারির হালিম। তিনি জানান, এই মাছ মিরপুর উপজেলার অঞ্জনগাছি গ্রামের সুজনের ঘের থেকে আনা হচ্ছে। থানাপাড়ার একজন এই পুকুরে মাছ ছাড়ছেন।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডাক্তার তাপস কুমার সরকারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, হাসপাতালের পক্ষ থেকে পুকুরে কোন মাছ ছাড়া হয়নি। এই পুকুর তিন বছর ধরে কোন ইজারা দেওয়া হয়নি। ২০১৭ সালের দিকে মেরিন ফার্মেসির মোকাররমের নেতৃত্বে ৪/৫ জন মিলে ৪ বছরের জন্য ৪ লক্ষ টাকায় লিজ নিয়েছিল।
এবিষয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মোঃ রফিকুল ইসলাম এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি আসার আগেই যা হওয়ার হয়েছে। আমি আসার পর আর কোন টেন্ডার হয়নি। গতকাল আমরা কোন মাছ ছাড়িনি। কে মাছ ছাড়ছে সেসম্পর্কে আমার একটুও জানা নেই। আপনি আরএমমোর কাছ থেকে জানতে পারেন।