Pathikrit Most Popular Online NewsPaper

    গ্রেফতারকৃত সঞ্জয় কুমার রুদ্র

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক রফিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত গাড়ি চালক
    সঞ্জয় কুমার রুদ্রকে মাদক সহ গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। সঞ্জয় কুমার রুদ্র চুয়াডাঙ্গার জেলার দর্শনা থানার মোহম্মদপুর (দর্শনা পৌরসভা ২নং ওয়ার্ড) গ্রামের শিবুপদ রুদ্রের ছেলে।

    বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুর ১২:৪০ টার দিকে হাসপাতালের গ্যারেজের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশ ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের গ্যারেজের সামনে যায়। সেখানে গিয়ে রুদ্রের প্যান্টের পকেট থেকে ১শ ৫০টি ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ তাকে গ্রেফতার করে। এবিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় ২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) সারনির ২৯(ক)/৪১।একটি মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মামলা নং-৫৫/২১৮, তারিখ ৩০ মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। এই মামলায় একজন আসামি পলাতক রয়েছেন।

    এছাড়াও হাসপাতাল কর্মকর্তা ও চিকিৎসকের গাড়ী নিরাপদ ভেবে তিনি নিয়মিত এই গাড়ীতে মাদক পরিবহন করে বলে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়। তাছাড়া মাদক ব্যবসার সাথে ওই কর্মকর্তাও জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করে সূত্রটি।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক গাড়ি চালক জানান, পরিচালক স্যার নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে চলাচল করে থাকেন। স্যারের নোহা নিউ মডেলের একটি গাড়ি রয়েছে। সেই গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন সঞ্জয় কুমার রুদ্র (৩০)।

    এবিষয়ে কথা বলতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ রফিকুল ইসলাম এর মুঠোফোনে কথা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, সঞ্জয় কুমার রুদ্র ৭/৮ মাস ধরে আমার গাড়ি চালান। আমি কখনোই বুঝতে পারিনি সে এধরনের কাজ করবে। আমি বুঝতে পারলে কখনোই তাকে আমার ড্রাইভার হিসেবে রাখতাম না। তিনি আরো বলেন, এরা সুযোগ নিয়েছে আমি একটা বড় কর্মকর্তা আমার গাড়ি কেউ আটকায় না এই সুযোগ ওরা নিয়েছে। এদের শাস্তি অবশ্যই হওয়া উচিত। এদের বিষয়ে আমার কোন সুপারিশ নেই।

    Spread the love