কুষ্টিয়া অফিস:
চলমান সহিংসতায় প্রতিহিংসার বলি হয়েছে হতদরিদ্র ফেরিওয়ালা আসাদুল।দুষ্কৃতকারীরা তাকে হত্যা করে বাড়ির অদূরে একটি পুকুরে ফেলে দেয় বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। তিনি মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আফসার কারিগরের ছেলে আসাদুল (৫০)।
শুক্রবার (০৯ আগস্ট) দুপুরে নিজ বাড়ির অদূরে একটি পুকুর থেকে আসাদুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
চলতি মাসের ০৫ তারিখে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে পালিয়ে যায় স্বৈর শাসক শেখ হাসিনা। একইসাথে পালিয়ে যায় আওয়ামী লীগের আর্শীবাদপুষ্ট পুলিশের কিছু উর্ধ্বতন কর্মকতা। এতে বিপাকে পড়ে যায় পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ে। এই সুযোগে কিছু দুষ্কৃতকারীরা ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। এমনই এক দুষ্কৃতকারী চক্রের নৃশংসতার কবলে পড়ে প্রাণ হারায় আসাদুল। তারা গত সোমবার সন্ধ্যায় আসাদুলের বাড়িতে হামলা চালায়। সেসময় আসাদুলের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আসাদুল বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করেও প্রাণ রক্ষা করতে পারেননি। দুর্বৃত্তরা তাকে পাশ্ববর্তী আজিজ ডাক্তারের বাড়ি থেকে ধরে বেধড়ক মারধর করে এবং নিয়ে যায়। এরপর শুক্রবার দুপুরে আসাদুলের বাড়ির কয়েকশ’ মিটার দূরে একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর পরিচয় শনাক্ত করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসাদুল আমবাড়িয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আশরাফের সাথে চলাফেরা করতেন। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থক ছিলেন। ভাদু মেম্বারের ছেলেরা জাসদ সমর্থক।
আসাদুলের স্ত্রী মাসুরা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় সাবেক মেম্বার ভাদুর ৬ ছেলে সহ ৪০/৫০ জন বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা সবকিছু লুটপাট করে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমার স্বামী পাশ্ববর্তী আজিজ ডাক্তারের ঘরে পালালে সেখান থেকে ধরে মারধর করে। এরপর আর আমার স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুকুরে লাশ ভাসার কথা শুনে গিয়ে দেখি আমার স্বামীর লাশ ভাসছে। আমার স্বামী একজন দিনমজুর। সে ফেরি করে ছিটকাপড় বিক্রয় করে। আমার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ভাদু মেম্বারের ছেলে এনামুল, বাবু, ভুট্টো, রেজাউল, আব্দুল্লাহ, জফর, আব্দুল্লাহ ছেলে শামীম, শাহীন, মুন, কুটি, জাফরের ছেলে শীলনসহ ৪০/৫০ জন। আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার চাই।