নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে এসে গুলি ও মারধোর করার অভিযোগ উঠেছে কুুষ্টিয়া কুমারখালি উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড়কালোয়া এলাকার খালেক মেম্বার গং এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।বুধবার (৩০ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২:৩০ টার দিকে কুমারখালি উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড়কালোয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, বেড়কালোয়া গ্রামের মৃত মোশাররফ শেখের ছেলে তরুণ শেখ (৩৫) ও ইব্রাহিম শেখের ছেলে আশরাফ (৪০)। তাঁরা দুজনেই ফেরিওয়ালা। ভুক্তভোগী ও তাঁর স্বজন সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সাবেক মেম্বার খালেকের ছেলে রিপন, শিপন ও পীর উদ্দিন পিনুর ছেলে লিটন চোর ও তাদের সহযোগীরা একই এলাকার তরুণ শেখ ও তাঁর স্বজনদের বাড়িতে দিনের বেলা আক্রমণ করেন। এসময় আক্রমণকারীরা তাঁদের বাড়ি থেকে টাকা পয়সা,দুইটি গরু ও অন্যান্য সম্পদ লুট করে নিয়ে যায় বলে ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই শরিফ অভিযোগ করেন।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, “খালেকরা দিবাগত রাতে আবার পুলিশের সাথে আসে। পুলিশ একটি দোকানে গিয়ে বসে। এরপর খালেক মেম্বার গং এর সদস্য পীর উদ্দিন পিনুর ছেলে লিটন, আলমের ছেলে আলামিন, আজিজুলের ছেলে রাকিব, মুক্তির ছেলে মারুফ,দুলালের ছেলে জাহাঙ্গীর সহ ১৫/১৬ জন শরিফ শেখের ছেলে জিসান (১৬) কে রাত ২:২৫ টার দিকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বেধড়ক মারধোর করতে থাকে। এসময় জিসানের আর্তচিৎকারে তাঁর চাচা তরুণ শেখ, আশরাফ আলী ও অন্যান্য স্বজনরা ছুটে আসলে লিটন চোর তরুণ শেখকে লক্ষ্য কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এতে তিনি হাতে ও পায়ে মোট তিনটি গুলিবিদ্ধ হয়। গুলির শব্দ শোনার পর পুলিশ ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
“এসময় অভিযুক্তদের মারধোরে আশরাফ শেখ (৪০) নামে তরুণ শেখের আরও এক চাচাতো ভাই গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।সরেজমিন দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ তরুণ শেখ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ১০ নম্বর সার্জারি বিভাগের বারান্দায় ব্যথার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। তার বাম হাতের কব্জির ওপরে এবং বাম পায়ের হাটুর নিচে মোট তিনটি গুলি লেগেছে। প্রতিবেদককে দেখে তিনি দ্রুত গুলি বের করার ব্যবস্থা করতে আহাজারি শুরু করেন।তরুণ শেখের ভাতিজা হামিদুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সাবেক মেম্বার খালেক ও তার ছেলেরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতেই নিরীহ মানুষের উপর অন্যায়ভাবে নানারকম নির্যাতন করে আসছে। আজ আমার চাচা তরুণ শেখকে হত্যা করতেই গুলি করেছে। এছাড়াও তারা হত্যা মামলা সহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামী। জামিনে মুক্ত হয়ে তারা নানাধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড শুরু করেন। আমরা এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
“কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ তাপস কুমার সরকার বলেন, “তরুণ শেখ নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার হাতে ও পায়ে মোট তিনটি গুলি রয়েছে।
“কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম প্রতিবেদককে বলেন,, ” আমি হাসপাতালে যাচ্ছি। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনো ঘটে থাকলে অভিযোগ সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অভিযুক্তদের পুলিশের সাথে যাওয়ার বিষয়ে অমত করেন তিনি।