কুষ্টিয়া অফিসঃ কুষ্টিয়ায় কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক। যদিও পৌরসভা বলছেন, তাদের অনুমতি রয়েছে ৩ হাজার ইজিবাইকের। তার মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৮শ ১৬ টি ইজিবাইক তাদের লাইসেন্স নবায়ন করেছে।
তবে ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ১০ হাজারের বেশি ইজিবাইক শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এতে করে প্রায়ই শহর জুড়ে তৈরী হচ্ছে বড় ধরনের যানজট। এর মূল কারণ এসব ইজিবাইক চালকদের নেই কোন প্রশিক্ষণ, নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স। এজন্য প্রতিনিয়ত সড়কে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সচেতন মহলের দাবি, ইজিবাইক চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হোক।
এদিকে কুষ্টিয়া মজমপুর, চৌড়হাস, চাঁর রাস্তার মোড়, বড় বাজার রেলগেট, মোল্লাতেঘড়িয়া, বারখাদা ত্রিমোহনী, লাহিনী বটতলা ও বটতৈল এলাকায় রাস্তার উপর গড়ে উঠেছে ইজিবাইক স্ট্যান্ড। এই স্ট্যান্ডের জন্য লেগেই থাকে যানজট। এই ব্যাপারে মহামান্য আদালত থ্রি হুইলার গাড়ি মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ করলেও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।
কুষ্টিয়া মজমপুরের কয়েকজন পথচারী জানান, মজমপুর ট্রাফিক মোড়ের উপর ইজিবাইক স্ট্যান্ড করে রেখেছে। এতে করে গাড়ি নিয়ে এবং পায়ে হেঁটে চলাচল করা দায় হয়ে উঠেছে। এরপর ইজিবাইক চালকেরা একেবারেই অদক্ষ। তারা যেখানে সেখানে ইজিবাইক থামিয়ে যাত্রী তোলে।
কুষ্টিয়া পৌর ইজিবাইক শ্রমিক কল্যান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হামিদ আলি বলেন, বর্তমানে শহরে ১০/১১ হাজার অটোরিকশা (ইজিবাইক) চলাচল করে।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নূরুন্নবী বাবু বলেন, মহাসড়কে ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করতে হবে। চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সড়কে ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাহলে সড়ক অনেকটাই নিরাপদ থাকবে।
কুষ্টিয়া ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ফকরুল আরেফিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে হরতাল ও অবরোধের মধ্যেও যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে মজমপুর, চৌড়হাস ও বারখাদা ত্রিমোহনী এলাকায় ইজিবাইক চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ইজিবাইক মহাসড়কে উঠতে নিরুৎসাহিত করা হবে।
কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, পৌর এলাকায় মোট ৩ হাজার অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দেওয়া আছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ১৮শ ১৬ টি ইজিবাইক, ৬শ ৬৮ টি রিক্সা ও ২৪ টি ভ্যান চলাচলের জন্য লাইসেন্স নবায়ন করেছে। অনেক সময় বাইরের কিছু অটোরিকশা শহরে ঢুকে যানজট সৃষ্টি করছে। আমরা মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে অটোরিকশা আটক করি। যাতে শহরে অতিরিক্ত অটোরিকশা না ঢোকে তার জন্য লাইসেন্স বিহীন অটোরিকশা ধরলে ১৫শ টাকা আর রিকশা ধরলে ৫শ টাকা জরিমানা করি।