স্টাফ রিপোর্টারঃ
আওয়ামীলীগের শাসনামলে কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে এমপি নির্বাচিত হয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে এমপি আব্দুর রউফ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে এই আসনটিতে অন্তত ২০টিরও বেশি সহিংসতা ঘটেছে। মাইকে ঘোষণা দিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাটেরও ঘটনা ঘটেছে তিনি।আবার কোথাও ঘটেছে গোলাগুলির ঘটনা। এই আসনের সাংসদ আব্দুর রউফ বিরোধীদের নিধনে নামে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।সবশেষ শুক্রবার (২০২৪ সালের ১২ জানুয়ারি) ভোররাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড়কালোয়া দুই সহোদর ইয়ারুল ও জিয়ারুলের ওপর হামলা চালায় আব্দুর রউফের সমর্থক খালেক মেম্বারের লোকজন। আহতাবস্থায় তাদেরকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও পুলিশ ও স্থানীয়রা এই ঘটনাকে পূর্ব বিরোধের জের বলে দাবি করেছেন।
তৎকালীন সময়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকিবুল ইসলাম বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ইয়ারুল ও জিয়ারুল নামে দুই ভাই আহত হয়েছেন। কোন গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি। তাছাড়া রাজনৈতিক বা নির্বাচন কেন্দ্রিক ঘটনাও না এটি।
এর আগে ( ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি) রাতে খোকসা উপজেলার জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়নের দু’টি গ্রাম উথলী ও রাধানগরে বাড়িঘর ভাংচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে। জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাকিব টিপুর কর্মী-সমর্থকরা ওই গ্রামের মহিষবাথান মসজিদে এশার নামাজ পর মাইকে ঘোষণা দিয়ে জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাজ্জাক, সাবেক ইউপি সদস্য বদিয়ার রহমান, মোস্তফা, সালাম এবং কুতুবের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে।
তৎকালীন সময়ে দুধ বিক্রেতা গোলাম মোস্তফার স্ত্রী রূপালী খাতুন বলেন, মাইকে ঘোষণা দিয়ে আমার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। বাড়িঘর কুপিয়ে সম্পূর্ণরূপে তছনছ করে ফেলা হয়। ঘরে আসবাবপত্র ভেঙে ফেলে। লুট করে নেয় টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার। এখন আমার ঘরে কোনো খাবার নেই। রান্নাও হয় না। সারাক্ষণ আতংকে থাকতে হয়। নৌকায় ভোট করার কারণেই আমাদের ওপর এমন অত্যাচার চালানো হচ্ছে।
তৎকালীন সময়ে সাংবাদিকদের কাছে খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল আক্তার অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের আগে ও পরে প্রায় ২০টিরও বেশি সহিংস ঘটনা ঘটিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন। আব্দুর রউফ এর মতের বাইরে গিয়ে কাজ করায় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নির্যাতন-নিপীড়ন চালাচ্ছে তিনি। এমপি আব্দুর রউফের নির্দেশেই এমন ঘটনা ঘটে। পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।