কুষ্টিয়া অফিসঃ
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুব উল আলম হানিফের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও দলীয় ক্যাডারদের ব্যবহার করে সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনু। আজ মঙ্গলবার বিকেলে শহরের আড়ুয়াপাড়ার বাসায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর এ অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাবা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী উপস্থিত ছিলেন। আনোয়ার আলী দীর্ঘদিন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে পারভেজ আনোয়ার তনু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় আশ্বস্ত হয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশায় কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে আমার কর্মীদের বিভিন্ন এলাকায় ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। আজ সকালে কুষ্টিয়ার হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিলন মন্ডলের নেতৃত্বে একদল লোক আমার কর্মী মুকুল, সোহেল ও খালিদকে বিনা উসকানিতে বেধড়ক মারপিট করে এবং তাঁদের হাতে টাকা ধরিয়ে নাটক সাজিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। আমার মহিলা কর্মীরা হরিপুরে গেলে মিলন মন্ডল তাঁদের ধাওয়া দেয়, খারাপ ব্যবহার করে।’
পারভেজ আনোয়ার তনু বলেন, ‘আমার গোটা নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ক্যাডাররা এই ধরনের হামলা ও মামলার হুমকি প্রদান করে চলেছে। এভাবে চলতে থাকলে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ। তিনি প্রশাসনকে ব্যবহার করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করছেন। সাধারণ জনগণ আমার সঙ্গে আছে।’
পারভেজ আনোয়ার তনু আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের মাধ্যমে নির্বাচনী এলাকার মানুষকে জানাতে চাই, আপনারা ভয় করবেন না। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পারভেজ আনোয়ারের বাবা আনোয়ার আলী বলেন, পুলিশ ও সন্ত্রাসী বাহিনী সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাঁধা। তারা নানা রকম মিথ্যা গল্প ও নাটক সাজিয়ে ভোটার ও কর্মীদের ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করছে। সদরে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা বলেন, ‘প্রশাসনকে ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। তবে আইন লঙ্ঘন করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ এখনো হাতে পাইনি। হয়তো আসবে। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে প্রশাসন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’