কুষ্টিয়া অফিস।।
জেলার সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের কবুরহাট বাজারে তুফান নামের এক কসাইকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার সকালে কুষ্টিয়া সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দবির উদ্দিন বিশ্বাস এই জরিমানা করেন।
শুক্রবার রাত আনুমানিক ১২টার সময় তুফান নামের ঐ কসাই একটি অসুস্থ গরু কিনে জবাই করে ভেটেরিনারী কর্মকর্তা দ্বারা পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই সকালে মাইকিং করে মাংস বিক্রি করে। গোপন সূত্রে ঘটনাটি জানতে পেরে অভিযান পরিচালনা করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। এসময় অভিযুক্ত কসাইকে হাতে নাতে আটক করা হয়। পরবর্তীতে পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রন আইন ২০১১ এর ১৬ ধারায় কসাইকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
স্থানীয়রা জানান, আজিজের একটি গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। সেই গরু গত রাতে স্ট্রোক করে। এরপর সেই গরু কম দামে তুফান কসাইয়ের কাছে বিক্রয় করে আজিজ। তবে গরু জবাই করার সময় আর নড়াচড়া করেনি। রাত ১২ টার সময় তুফান কসাই গরু জবাই করার পর মাইকিং করে সকালে ৫৫০ টাকা দরে মাংস বিক্রি করে। তুফান কসাই ও জুয়েল কসাই ব্যবসায়িক অংশীদার বলেও জানান তারা।
এই বিষয়ে জুয়েল কসাই জানান, গরু অসুস্থ হওয়ায় সেখান থেকে নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। তাই সেখানেই অনেক মানুষের সামনে গরু জবাই করা হয়। এসময় ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়াই গরুর মাংস বিক্রিয়ের কথা শিকার করেন তিনি।
গরুর মালিক আজিজ মুঠোফোনে প্রতিবেদককে বলেন, আমার গরুর ক্ষুরা রোগ হয়েছিল। শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে কাঁপতে কাঁপতে পরে গিয়ে গরু স্ট্রোক করে। মাথায় পানি ঢেলে কোনরকম সুস্থ করা হয়। ডাক্তার এসে বলে এই গরু বাঁচবে না। তাই আমি কসাইয়ের কাছে ৮৪ হাজার টাকায় গরুটি বিক্রি করেছি। কসাই আমার বাড়িতেই গরু জবাই করে। সেখানে কোন ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়নি।
এই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) দবির উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে।