কুষ্টিয়া অফিস:

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নৈরাজ্য- নাশকতা রোধে জন সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদল। চলতি মাসের ৫ তারিখে ছাত্র- জনতার সরকার পতনের তীব্র আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতন ঘটে। তিনি পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে একদল কুচক্রী মহল দেশ জুড়ে নৈরাজ্য, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। এই কুচক্রী মহলকে প্রতিহত করতে মাঠে নেমেছে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদল। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার থেকে মাইকিং করে প্রচার শুরু করেছে তারা। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন সড়কে মাইক নিয়ে প্রচারণা চালাতে দেখা যায়। এসময় প্রচার গাড়ীর সাথে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোজাক্কির রহমান রাব্বির নেতৃত্বে প্রায় ৬০ টি মোটরসাইকেল নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সচেতনতা মূলক প্রচারণা চালাতে দেখা যায় এবং কোনপ্রকার নৈরাজ্য হলে তাদের জানাতে বলেন।

মাইকে শোনা যায়, “আপনাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলে ফ্যাসিস্ট, গণহত্যাকারী, ভোট ডাকাত শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। বর্তমানে একটি চক্র আপনাদের এই বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তৎপর হয়েছে। তারা ভাংচুর, সন্ত্রাস, লুটতরাজ, ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা সহ নানারকম নৈরাজ্য করছে। বর্তমান এই পরিস্থিতিতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান ঐতিহাসিক ভাষণে আপনাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বাংলাদেশের সকল ধর্ম ও মতের মানুষের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তাই আপনারা নিজ নিজ পাড়া মহল্লায় দলীয় নেতাকর্মী ও আমাদের ছাত্রজনতাকে সাথে নিয়ে সকল ধরনের নৈরাজ্য প্রতিহত করুন। দয়া করে আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। প্রতিহিংসা, প্রতিশোধে লিপ্ত হবেন না। কোন পরাজিত শক্তি কিংবা কেউ বিএনপি’র নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করতে চাইলে তাকে আইনের হাতে তুলে দিন। সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকল ভেদাভেদ ভুলে দেশপ্রেমিক সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।”