নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় কুষ্টিয়া-ইশ্বরদী সড়কের জুগিয়া পালপাড়ায় অনুমতি ছাড়াই বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ‘কুষ্টিয়া জেলা আবাসন প্রকল্প’ নামে ১০ তলা বিশিষ্ট এই ভবনটি ইমারত নির্মাণ আইন অমান্য করে নির্মিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৩২ জন পুলিশের কর্মকর্তা-কর্মচারীর মালিকানাধীন ওই ভবটির পৌরসভার কোন রকম অনুমোদন ছাড়াই প্রভাব খাটিয়ে নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পাইলিং এর কাজ চলছে। ভবনের সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দেওয়া হারুন অর রশিদ নামের এক ব্যক্তি প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে কোন প্রকার অনুমোদন নেই বলে জানান। অনুমতির জন্য সাফা ইঞ্জিনিয়ার্স এন্ড কনসালটেন্স লিঃ কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য যে নাম্বার দেওয়া হয় তা প্রতিবেদক বন্ধ পান।
এসময় সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ার হারুন অর রশিদ তার মুঠোফোন দিয়ে মেহেরপুর থানায় কর্মরত এসআই জাকারিয়া নামের এক ব্যক্তিকে ফোন ধরিয়ে দেন। ফোনের অপর পাশে থাকা ব্যক্তি বলেন, কুষ্টিয়া ২০০৩ ব্যাচের নিয়োগ প্রাপ্ত ৩২ জন পুলিশ সদস্য মিলে এই ভবনের কাজ শুরু করা হয়েছে। এখানে অতিরিক্ত ডিআইজি রেজাউল করিমের দুইটি ফ্লাট রয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়াও তিনি স্বাকীর করেন, এখন পর্যন্ত কোন ভবনের কোন নক্সা জমা দেওয়া হয়নি। আমারা ঢাকা থেকে নক্সা করেছিলাম কিন্তু কুষ্টিয়া পৌরসভা সেটা গ্রহণ করেনি। পরে আমরা কুষ্টিয়া সাফা ইঞ্জিনিয়ার্স এন্ড কনসালটেন্স কে নক্সার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার নগর পরিকল্পনাবিদ রানভির আহমেদ প্রতিবেদককে জানান, ভবনটির কোনো নকশা পৌরসভায় জমা হয়নি। ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “অনুমতি ছাড়া কেউ ভবন নির্মাণ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ওহিদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পরিকল্পনাবিদকে পাঠিয়েছিলাম, তিনি বিষয়টি দেখছেন। অনুমতি ব্যতীত পৌর এলাকায় কোন প্রকার ভবন নির্মানের সুযোগ নেই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের চেষ্টা করলেও পৌরসভার কার্যকর তদারকি ও কঠোর পদক্ষেপে এসব অবৈধ কাজ বন্ধ করা সম্ভব হবে।