নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধার চেতনা বিক্রি করা দল আর বিএনপি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার দল। আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা মহান স্বাধীনতার ঘোষক, রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম)। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে আজও হয়তো পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ থাকতো আমাদের এই সোনার বাংলা।
গতকাল ১১ ডিসেম্বর বিকেলে কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এ্যাড. অপু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. শামিম উল হাসান অপু আরো বলেন, আজকের এই দিনে আমরা গভীরভাবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করছি। যে লক্ষ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে আমরা সেই মুক্তিযোদ্ধাদের চিরকাল স্মরণ রাখবো।
১১ ডিসেম্বর ২২ জায়গায় খন্ড খন্ড রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর কুষ্টিয়া হানাদার মুক্ত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ দীর্ঘদিন স্বৈরাচার হাসিনার হাতে থাকায় কুষ্টিয়াসহ সারা দেশের মানুষ আবারো পরাধীনতার স্বাদ পেতে বাধ্য হয়েছে।
৫ আগষ্ট স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে ছাত্র জনতার বিজয়ের পুর পুনরায় আমরা স্বাধীনতা স্বাদ পেতে শুরু করেছি। এই স্বাধীনতা কোন ভাবেই যেন ভুলণ্ঠিত না হয় সেজন্য আমাদের সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দল কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি ইসতিয়াক আহমদ সাবাবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুদ জাহিদ, যুব বিষয়ক সম্পাদক মেজবাউর রহমান পিন্টু, সাবেক ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মোল্লা, জেলা কৃষকদলের সাবেক সভাপতি গোলাম কবির প্রমুখ।
কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা শেষে পাঁচ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দল কুষ্টিয়া জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহফুজ্জামান তিতাস।
আলোচনা সভা পরবর্তীতে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।