Pathikrit Most Popular Online NewsPaper

    বাম থেকে আটক ইফতি, জনি, সজিব, লিংকন, সজল ও ফয়সাল

    কুষ্টিয়া অফিসঃ
    কুষ্টিয়ার চাঞ্চল্যকর মিলন হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রথম আটককৃত আসামি সজলের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা ও বিএসবি কিশোর গ্যাং এর হোতা এস,কে সজীবকে আটক করে পুলিশ। এরপর সজীবের দেওয়া তথ্য অনুসারে শনিবার দিবাগত রাত থেকে প্রায় ১০ ঘন্টা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চরে অভিযান চালিয়ে পৃথক চারটি স্থান থেকে  নিহত মিলন হোসেনের ৯ টুকরো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ এই হত্যাকান্ডে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে ৬ জনকে আটক করলেও মামলা হয়েছে অজ্ঞাতনামা আসামি করে। যাদের দেওয়া তথ্য ও দেখানো জায়গা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের নামও মামলার এজাহারে না থাকায় মামলার বিষয়টি নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
    জানা যায়, মিলন হত্যা কান্ডের  ঘটনায় তাঁর  মা শেফালি খাতুন অজ্ঞাতনামা আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এজাহারে স্পষ্টভাবে আসামিদের নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করায় বিষয়টি নিয়ে নতুনভাবে সমালোচনা শুরু হয়। মামলার বিষয়ে কথা বলতে বাদী শেফালির মোবাইল নাম্বারে কল করলে তার মেয়ে শিরিনা রিসিভ করেন। তিনি বলেন, আমরা থানায় গিয়ে মামলাটি করেছি। পুলিশের কম্পিউটারে টাইপ করা হয়েছে। তারা কেমনে লিখেছে আমরা জানি না। বাদীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে শিরিনা বলেন, পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানাবেন।
    কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) শেখ সোহেল রানা বলেন, নিহত মিলনের মা শেফালি খাতুন অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা করেছেন।
    এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, এটি ক্লুলেস মামলা। সেই হিসেবে বাদী এমন এজাহার করেছেন। কিন্তু আমরা হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করেছি, জড়িতদের সনাক্ত করেছি। এরমধ্যে ৬ জনকে আটক করে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। রোববার দুপুরের পর তাদের কুষ্টিয়া আদালতে উপস্থাপন করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। তিনি আরও বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই মামলার তদন্ত করছি। তদন্তে মিলনের আউটসোর্সিং ব্যবসার টাকাপয়সার লেনদেন, হত্যায় অভিযুক্ত সজীবের চাঁদা দাবি এবং মিলনের কোনো প্রতারণামূলক কাজের কারণে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে কিনা এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
    এবিষয়ে কুষ্টিয়া কোর্ট ইন্সপেক্টর জহুরুল আলম মুঠোফোনে জানান, আটককৃত আসামিরা কোর্ট হেফাজতে আছেন।

    Spread the love