
ঢাকা অফিসঃ
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ড. ইউনূসসহ চারজনকে আপিলের শর্তে জামিন দিয়েছেন শ্রম আদালত। রায় ঘোষণার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আসামিদের জামিন দেন আদালত।
সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে ড. ইউনূসসহ একই মামলায় দণ্ডিত চারজনকে সাজার রায় ঘোষণার পর তাদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।
দুপুর ২টা ১৫ মিনিট থেকে রায় ঘোষণা শুরু করা হয়। রায় শোনার জন্য ১টা ৪০ মিনিটে আদালতে উপস্থিত হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এদিন রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বর ও আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। খবর সংগ্রহের জন্য ভিড় জমান দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়।
উল্লেখ্য, নতুন বছরের প্রথম দিন সোমবার দুপুরে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা ৮৪ পৃষ্ঠার এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অপর আসামীরা উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী। অন্যদিকে ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলায় দুইটি ধারায় শাস্তির আবেদন জানায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। যেখানে একটি ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং আরেকটি ধারায় কেবলমাত্র ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।