কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আসান নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদের ফেন্সিডিল সেবনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে মোবাইলে মোবাইলে।
১৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ এসেছে প্রতিবেদককে কাছে। সেখানে দেখা যায় একটি খোলামেলা জায়গায় ভারতীয় আমদানি নিষিদ্ধ ফেন্সিডিল হাসতে হাসতে মুটকি খুলে খাচ্ছেন।
পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সেই ফেন্সিডিল সেবনকারী আসান নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ। সে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের শেখ আহম্মদের ছেলে। তিনি ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি আসান নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
এবিষয়ে সোমবার সকালে আসান নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে হারুন অর রশিদ কে স্কুলে পাওয়া যায়নি। সেখান থেকে যানা যায় তিনি ছুটি নিয়েছেন। তার ব্যবহিত মোবাইল ০১৭২…..০৩ নাম্বারে ফোন দিয়ে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর কাঞ্চনপুরে হারুন অর রশিদের বাড়িতে গিয়ে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন ভিডিওটি কয়েক মাস আগের। তবে এই বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।
এদিকে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় তিনি একজন মাদকসেবী।
একজন অভিভাবক বলেন, শিক্ষক হচ্ছেন জাতী গড়ার কারিগর। সেই শিক্ষক যদি হন মাদকসেবী তাহলে জাতী তার মতো শিক্ষকের কাছ থেকে কি শিখবে।
বাংলাদেশ মাদক প্রতিরোধ কমিটি (বিএমপিসি)’র সভাপতি হাসিবুর রহমান রিজু বলেন, একজন শিক্ষক যদি মাদকসেবী হয় তবে তার কাছ থেকে অক্ষরজ্ঞান শিক্ষা পাওয়া যেতে পারে তবে তার কাছ থেকে নৈতিকতা শিক্ষা পাওয়া সম্ভব নয়।
কুষ্টিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর মুঠোফোনে ফোন দিয়ে আসান নগর নাম উচ্চারণ করতে না করতেই তিনি বলেন হ্যাঁ শুনলাম তো। গতকাল আপনি ফোন দিয়েছিলেন। আমি গতকাল ফোন দিনি বললে তিনি বলেন, হ্যাঁ বুঝেছি ফেন্সিডিল খাওয়ার বিষয়তো। থানায় মামলা করতে হবে, থানায় মামলা করতে হবে বোঝা গেছে। থানায় কে মামলা করবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে সংক্ষুব্ধ হবে যার বেশি বেশি মন খারাপ হবে সে করবে। যার গায়ে লাগবে সে করবে। সে মাদকসেবী হোক সে একজন সমাজের লোক। থানায় মামলা না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোন ব্যবস্থা নিতে পারবো না।