Pathikrit Most Popular Online NewsPaper

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নানা অনিয়ম দুর্নীতির অবসান ঘটলেও থামেনি কিছু আওয়ামী লীগ নেতাদের দৌরাত্ম। তারা খোলস পাল্টে আবারও আগের মতোই অনিয়ম দুর্নীতি করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাঁটশ হরিপুর ইউনিয়নের ৫ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের মিলেমিশে এমন অনিয়ম দুর্নীতি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১নং হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের ৫ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও প্রধান শিক্ষক নানা অনিয়ম ও দূর্নীতিতে মেতে উঠেছে। প্রধান শিক্ষক আঞ্জুমান অআরা ও স্কুল কমিটির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সদস্য বাবু মিলে দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে বিভিন্ন সংস্থা থেকে আসা অর্থ ও সরকারি অনুদানের টাকা পয়সা হরিলুট করে খাচ্ছে।দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের মত পকেট কমিটি করে এই সব দুর্নীতি করে আসছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে খোলস পাল্টে একই কায়দায় আবারও অনিয়ম দুর্নীতি শুরু করেছে।

    এলাকাবাসি জানান ,স্কুলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ আসে। দুর্নীতির কমাধ্যমে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নেয় এই দুজন।বিদ্যুৎ বিল,ঝাড়ু কেনা,বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কথা বলে গরীব ও অসহায় ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে।

    এলাকাবাসি আরও অভিযোগ করেন,স্কুল কমিটির সদস্য বাবু শ্বৈরাচার আওয়ামিলীগ সরকারের হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির মিলন মন্ডলের লোক।সে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেসব ছাত্রছাত্রী আন্দোলনে গিয়েছিল তাদের লিস্ট করে থানায় দেওয়ার মত অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।বাবু রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে সে কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে।স্কুলের প্রধান শিক্ষক আঞ্জুমান আরার বিরুদ্ধে অভিবাবকদের সাথে খারাপ আচরণ,ছাত্রছাত্রীদের সাথে খারাপ আরচণ,অর্থ লুটের অংশিদারসহ নানা অভিযোগ করেন তারা।

    ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে স্কুলের রাস্তা ঢালাই বাবদ ২ লক্ষ্য টাকার একটি কাজ আসে।সেই কাজে নানা অনিয়ম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও স্বঘোষিত সভাপতি বাবুর বিরুদ্ধে।

    সরজমিনে গেলে দেখা যায় স্কুলের রাস্তার কাজের জন্য ২/৩ নাম্বার ইট ও খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে।

    এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আঞ্জুমান আরার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,কাজ শেষ হয়ে গেছে গত ২ দিন আগে।এলজিইডি’র থেকে তদারকি করে গিয়েছে।বিষয়টা তারা দেখছে।

    স্কুল কমিটির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সদস্য বাবুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

    এলজিইডির কুষ্টিয়া সদর উপজেলার প্রধান প্রকৌশলী হাসান বলেন, এলজিডির সহ কোন অফিস ২ নাম্বার বা ৩ নাম্বার ইট বা পিকেট ব্যবহার করার কোন নিয়ম নেই।

    জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই কাজ এলজিইডি’র। এই কাজের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।

    Spread the love