Pathikrit Most Popular Online NewsPaper

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    ফিল্ম সংকটের কারণে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে জরুরি ছাড়া অন্যান্য সকল এক্স-রে সেবা বন্ধ আছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

    চাহিদার তুলনায় কম সরবরাহ ও ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বরাদ্দকৃত ফিল্ম না আসার কারণে সৃষ্ট সংকট থেকে এধরনের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন প্রায় দুইশো থেকে আড়াইশোটির মতো এক্স-রে চাহিদা থাকে। কিন্তু হাসপাতালের সক্ষমতা না থাকায় ৭০ থেকে ৮০ টার মতো এক্স-রে করা সম্ভব হয়। এছাড়াও হাসপাতালে বাৎসরিক বিশ থেকে পঁচিশ হাজারের মতো এক্স-রে ফিল্মের চাহিদা থাকে। সেখানে কর্তৃপক্ষ চাহিদার অর্ধেকের মতো সরবরাহ করে থাকে। ফলে ফিল্ম সংকটের সৃষ্টি।

    সম্প্রতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বরাদ্দকৃত ফিল্ম এখনও হাসপাতালে এসে পৌঁছায়নি। ফলে হাসপাতালে খুব জরুরি ছাড়া স্বাভাবিক এক্স-রে সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে এক্স-রে সেবা বন্ধ থাকায় উচ্চমূল্যে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক থেকে কয়েকগুণ বেশি মূল্যে এক্স-রে করাতে হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন ভুক্তভোগী রোগী জানান, “হাসপাতালে এক্স-রে হচ্ছে না। বাইরে থেকে অনেক বেশি টাকা দিয়ে এক্স-রে করাতে হচ্ছে। ফলে চিকিৎসা খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। পা ভাঙা সহ গুরুতর আহত রোগী নিয়ে বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও ৫শ শয্যা বিশিষ্ট কুুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গভাবে চালু না হওয়ায় একমাত্র সদর হাসপাতালের উপরেই নির্ভরশীল হতে হয় কয়েক জেলার মানুষের। তাছাড়া হাসপাতালে দালালের উৎপাত তো আছেই। এতে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হতে হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা অসহায় রোগীরা।

    ” হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডাঃ তাপস কুমার সরকার বলেন, “চাহিদার তুলনায় কম ফিল্ম সরবরাহ ও যথাসময়ে সরবরাহ না হওয়ায় হাসপাতালে স্বাভাবিক এক্স-রে সেবা বন্ধ রয়েছে। বরাবরই সরবরাহ কম থাকে। তবুও আমরা স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি।”

    Spread the love