
১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগের ‘একতরফা’ নির্বাচনমুখী অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে ভোটের দিন কেন্দ্রগুলো তাদের অস্থায়ী কার্যালয়ে পরিণত হবে। আওয়ামী লীগ প্রতারক দল এবং নৌকা গুম-খুনের প্রতীক। সুতরাং জনগণ তাদের ভোট দেবে না।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি এবং অবরোধের সমর্থনে মিছিল বের করেন দলের নেতাকর্মীরা। জাতীয় প্রেস ক্লাব হয়ে বিজয় নগর ঘুরে পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জোটের নেতারা এ কথা বলেন।
১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ এখন দেশের শক্র ও জনগণের শত্রু। তারা দেশের পচনশীল রাজনৈতিক দল এবং নৌকা গুম-খুনের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এবার জনগণ তাদের প্রতিহত করতে রাস্তায় নেমেছে। জামায়াতের এ নেতা বলেন, জামায়াত ও বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে ঘরবাড়ি ছাড়া করেছে পুলিশ। তারা প্রতিনিয়ত অন্যায়ভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। এ অবৈধ সরকারকে দেশের জনগণ আর এক মুহূর্তও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
মোহাম্মদ আলী বলেন, এ দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম চলছে, এ স্বৈরাচার সরকারের বিদায় এবং এ দেশের মানুষের মুক্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
ডেমরায় সড়ক অবরোধকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য আবু জয়নব, মোজাফফর হোসাইন, মোহাম্মদ আবু মৃধা, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, আবু সায়েম, জসিম উদ্দিন, কামরুল মুনীর ফুয়াদ, শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলামসহ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এছাড়াও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের নেতাকর্মীরা পুরান ঢাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য এম আর আজাদের নেতৃত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আবুল ফজল, নুর ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
জেইউ/এসএসএইচ