
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পুকুর থেকে এক যুবতীর ভাসমান মরদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয়দের চোখে মরদেহটি পড়ে। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে হাসপাতালের বড় পুকুরে ভাসমান অবস্থায় এক নারীর মরদেহ দেখতে পান পথচারীরা। পরে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।পরে তদন্তে পুলিশ নিহত নারীর পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। নিহতের নাম অনন্যা ইসলাম সুমি ওরফে জুথি (৩৩)। তাঁর পিতার নাম মৃত নুরুল ইসলাম বাচ্চু। তিনি কুষ্টিয়া শহরের পিয়ারাতলা লুৎফুল হক লেনের ২১/১ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা ছিলেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল আজিজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,“খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা সব দিক বিবেচনা করে তদন্ত করছি। এটি দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড—তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি বাটন মোবাইল ফোন ও এক জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে।
বর্তমানে মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পুলিশের আশা, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর রহস্যের জট খুলে যাবে।
স্থানীয়দের মতে, ঘটনাটি এলাকায় তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—এই মৃত্যু কি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনো অজানা কারণ?