নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকার ভাড়া বাসায় স্ত্রী উর্মি খাতুনকে (৩৫) হত্যার দায় স্বীকার করেছেন স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক রানা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শহরের মজমপুর গেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।
মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রানা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। পরকীয়ার সন্দেহে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার একপর্যায়ে মারধর ও গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তিনি। পরে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যান।
গত শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে হাউজিং এফ ব্লকের ভাড়া বাসা থেকে উর্মির মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।নিহত উর্মি সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মহিম মণ্ডলের মেয়ে। ৫ বছর আগে মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রানা খানের সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। দম্পতি কাপড় ও খাবারের দোকান চালাতেন এবং হাউজিং এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
উর্মির ভাই আবু সাইদ অভিযোগ করেন, রানা মাদকাসক্ত এবং একাধিকবার কারাগারে গেছে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে কলহ লেগেই ছিল। পারিবারিক বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে উর্মিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।